হোম অন্যান্যসারাদেশ ভীতিকর খবর পরিহার করে জনমনে সাহস যোগানোর মতো সংবাদ প্রচারের আহবান-মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ কামাল হোসেন

ভীতিকর খবর পরিহার করে জনমনে সাহস যোগানোর মতো সংবাদ প্রচারের আহবান-মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ কামাল হোসেন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 104 ভিউজ

খুলনা অফিস :

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মোঃ কামাল হোসেন বলেছেন, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারীর এই ক্রান্তিকালে বেতার-টিভি খুললেই শুধু ভীতিকর খবর শোনা যায়। এ সকল খবর শুনে ও দেখে জনসাধারণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরণের খবর পরিহার করে জনমনে সাহস যোগানোর মতো সংবাদ প্রচার হলে জনগণ আশ্বস্ত হবে এবং তা দেখে অন্যরাও অনুকরণ করবে।

সংবাদ মাধ্যমকে দেশের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় অগ্রণী সৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।মঙ্গলবার খুলনা সার্কিট হাউজে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় খুলনা জেলা কমিটির সদস্য ও গণ্যমান্যদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।তিনি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় খুলনা জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবও।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসা সেবায় জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সবার আগে সুরক্ষিত রাখতে হবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতরা যেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত না হন সেদিকে সর্বাগ্রে নজর দিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খুলনা জেলার ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহিত পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমাদেরকে ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এর ফলে যে কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সহজ হবে। রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে কিছু অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সচল করতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষিকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

খাদ্য শস্যের উৎপাদন,সংগ্রহ ও বিপনন যেন বাধাগ্রস্থ না হয় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো অনুসরণ করা এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাকে জোরদার করতে পারলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত নয় জন কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এর মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং আট জনের অবস্থা সন্তোষজনক। খুলনায় আক্রান্ত সকলেই বাইরে থেকে আগত। খুলনায় প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। খুলনায় ডায়বেটিক হাসপাতালটিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে ১০টি বেড আইসিইউসহ ভেন্টিলেটার সুবিধা রয়েছে। চিকিৎসকদের জন্য যথেষ্ট পরিমান ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী মজুদ আছে।

সভায় আরও জানানো হয়, ইতিমধ্যেই খুলনা জেলায় দুই লাখ ৮০ হাজার মানুষের (৭০ হাজার পরিবার) মধ্যে ৮৮ লাখ ৮ হাজার জিআর নগদ অর্থ বিরতণ করা হয়েছে। এছাড়া পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে তালিকা তৈরিতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেল’ নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছে।

ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখানে ত্রাণের জন্য আবেদন করা যাবে। মতবিনিময় সভায় খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির, খুলনা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি লে. কর্নেল মির্জা, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সবাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানাসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন