হোম অন্যান্যমতামত বেনাপোলে এক আত্নপ্রত্যায়ী তরুন কুতুব উদ্দিন কুয়াশা

বেনাপোলে এক আত্নপ্রত্যায়ী তরুন কুতুব উদ্দিন কুয়াশা

কর্তৃক
০ মন্তব্য 985 ভিউজ

মিলন হোসেন বেনাপোল :
যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামে কুতুব উদ্দিন কুয়াশা নামে এক আত্নপ্রত্যায়ী তরুনের বাড়ি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে এই তরুন স্বপ্ন দেখে মানুষ চিরদিন বেঁচে থাকে না। জন্মালেই মৃত্যু আছে। তাই যতদিন বেঁচে থাকা যায় ততদিন নিজে বেঁচে থাকার পাশাপাশি মানুষের মঙ্গলের জন্য কিছু কাজ করে যাওয়া। যে কাজ হাজার বছর বেঁচে থাকবে। সেই লক্ষে আমি আমার চিন্তা চেতনা থেকে এখন থেকে কাজ শুরু করছি। আমার জীবনের বড় আশা আমি আমার এই ছোটআঁচড়া গ্রামে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি এতিম খানা প্রাথমিক ভাবে গড়ে তুলব। আর শেষ হবে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে । সেই লক্ষ সেই স্বপ্ন আমার জীবদ্দশায় আমি বাস্তবায়ন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে চাই। কথাগুলো ব্যাক্ত করলেন ছোট আচড়া গ্রামের তুরুন যুবক কুতুব উদ্দিন।
কুতুবউদ্দিন বেনাপোল পৌর সভার ছোটআঁচড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। বর্তমান তার বয়স ২৬ বছর। সে গত দুই বছর আগে এ স্বপ্ন দেখে এগিয়ে যাচ্ছে।

আত্নপ্রত্যায়ী এ তরুন নিজ মেধা এবং বিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে একটি গরুর খামার করেছে। সে এই গরুর খামারের পাশাপাশি আমদানি রফতানি ব্যাবসাও করেন। বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৩০ টি উন্নত জাতের গরু। এই গরু সে হাট থেকে ছোট অবস্থায় ক্রয় করে তার নিজ খামারে লালন পালন করে। বর্তমান তার প্রতিটি গরুর মুল্য আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা বলে জানান। সে ভাবিষ্যাতে আরো বড় খামার করবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

কুয়াশা বলেন, আমি কুয়েতে ছিলাম। সেখান থেকে দেশে এসে চিন্তা করলাম আমার মানুষের জন্য কিছু করে যেতে হবে। সেই প্রত্যায় নিয়ে কাজ শুরু করে আজ আমি এগিয়ে চলেছি।
সে বলে এবার কুরাবানি ঈদে তার যে গরু আছে তা প্রায় এক কোটি টাকা বিক্রি হবে। লাভ ও খারাপ হবে না। আমি যে এতিম খানা করব তার জায়গা নির্ধারন করা আছে। মহামারি করোনা বিদায়ের পর আমি আস্তে আস্তে কাজ শুরু করব। এছাড়া তার খামারও বড় করে গ্রামের কিছু বেকার ছেলেদের কাজ দিব। বর্তমানে ও কয়েকজন তার খামারে কাজ করে থাকে। এরা গরুর ঘর পরিস্কার করা, খাবার দেওয়া, সময় বুঝে গরুর সুস্থ থকার জন্য কাজ করে থাকে। এছাড়া কযেকটি গাভী আছে সেখান প্রতিদিন শতাধিক লিটার দুধ উৎপাদন হয়।

মহামারি করোনা ভাইরাস উপলক্ষে কুয়াশা তার গ্রামে কয়েকশত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতারন করেন। এছাড়া তার এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরন কাজ অব্যাহত খাকার পাশাপাশি সে রমজান মাসে প্রতিদিন কয়েকশত লোকের ইফতারি ও বিতরন করেন। মসজিদ ছাড়া তিনি বাড়ি বাড়ি তার লোক দিয়ে সময় মত এসব ইফতার সামগ্রী পৌঁছায় দেন।

খামারে উন্নত জাতের বেশ কিছু গরু রয়েছে। মাথার উপর রয়েছে ইলেকট্রিক পাখা। সন্তান স্নেহে লালন পালন করা হচ্ছে গরু গুলোকে । একটি তার কারন সে তার জীবদ্দশায় একটি আধুনিক ও উন্নত মানের এতিম খানা নির্মান করবেন। তার চিন্তা চেতনা আমি সম্পদ শালী হয়ে বেঁচে থাকতে চাইনা । আমি সম্পদ অর্জন করব এলাকার মানুষের কথা ভেবে। এবং আমার মৃত্যুর পরও যেন আমি বেঁচে থাকি মানুষের হৃদয়ে সে লক্ষে আমি এগিয়ে যাচ্ছি।

ওই গ্রামের কয়েক জন বয়স্ক লোক বলেন, কুয়াশা একজন দয়াশীল ব্যাক্তি। অল্প বয়স্ক এই ছেলেটির অনেক প্রতিভা আছে। সে তার গ্রামের এলাকার মানুষের কথা চিন্তা ভাবনা করেন। তার সব সময় একটি ভাবনা কি করলে মানুষ ভাল থাকবে সেই লক্ষে কাজ করতে হবে। এসব ব্যাক্তিরা বলেন এলাকায় অনেক বিত্তবান আছে। বয়োজোষ্ঠ লোক আছে। কিন্তু এই তরুনের মত চিন্তা ভাবনার লোক নেই। আমরা সকলে তার জন্য মঙ্গল কামনা করি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন