আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় হিন্দু পরিবারের কিশোরী কন্যাকে বাল্যবিবাহ দিতে গিয়ে মুসলিম নিকাহ রেজিষ্ট্রার, বর, বর-কনের অভিভাবককে আটকের পর মোবাইল কোর্টে জরিমানা ও মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার মাওঃ আলাউল ইসলাম ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বেউলা গ্রামের যতীন দাসের অপ্রাপ্ত বয়সের কিশোরী মেয়ের সাথে কয়রা উপজেলার সরজিত কুমারের সাথে বাল্য বিবাহের জন্য মুসলিম নিকাহ রেজিস্টার মাওঃ আলাউল ইসলাম স্ট্যাম্পে লেখালেখির মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে বুধহাটা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সেকেন্ড অফিসার এএসআই আলমগীর হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিকাহ রেজিস্টার মাওঃ আলাউল ইসলাম, বর সরজিত কুমার, তার অভিভাবক প্রশান্ত তরফদার, কিরন বৈরাগী, মেয়ের পিতা যতীন কুমার দাস ও বিয়ের কনেকে আটক করেন। বিষয়টি তৎক্ষণাৎ আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুরকে অবহিত করলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় বাল্যবিবাহের কাজে সহযোগিতার জন্য নিকাহ রেজিস্টার মাওঃ আলাউল ইসলাম ও বরের দুই অভিভাবক প্রশান্ত তরফদার ও কিরন বৈরাগীকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে সর্বমোট ১০হাজার টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়া পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত অপ্রাপ্ত বয়স্করা বিয়ে করবে না এবং অভিভাবকরা তাদের বিয়ে দিবে না বলে মুসলেকা দিয়ে রেহাই পায় বর, কনে ও মেয়ের পিতা-মাতা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।