হোম জাতীয় বিসিক শিল্পনগরীতে জুয়েলারি কারখানার জন্য জমি বরাদ্দের আশ্বাস মন্ত্রীর

বিসিক শিল্পনগরীতে জুয়েলারি কারখানার জন্য জমি বরাদ্দের আশ্বাস মন্ত্রীর

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 75 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগরীতে জুয়েলারি শিল্পের কারখানা স্থাপনে জমি বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রতিনিধিদলের জমি বরাদ্দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ঢাকা থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে নতুন একটি বিসিক শিল্পনগরী করা হয়েছে। এটা একটা সুন্দর জায়গা ঢাকা-সিলেট হাইওয়ের পাশে। বর্তমানে তাঁতিবাজারে যে জুয়োলারি শিল্পকারখানাগুলো রয়েছে, সেগুলো সেখানে চলে যেতে পারবে।

এ সময় বাজুসের পক্ষ থেকে শিল্পমন্ত্রীর কাছে ৮ দফা প্রস্তাবনা দেয়া হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো–

১) জুয়েলারি শিল্পকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন নতুন শিল্পকারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে স্বর্ণ পরিশোধনাগার ও জুয়েলারি শিল্পে ব্যবহৃত মেশিন আমদানিতে শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদানের লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

২) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জুয়েলারি শিল্পকারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জমি বরাদ্দ দিতে হবে।

৩) স্বর্ণের গুণগত মান ও ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে বাজুস ও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি জেলায় গোল্ড টেস্টিং ল্যাব ও হলমার্ক সেন্টার স্থাপন করতে হবে।

৪) ডায়মন্ডের গুণগতমান ও গ্রাহক প্রতারণা রোধে বাজুস ও বিএসটিআইর তত্ত্বাবধানে দেশের সকল জেলায় আধুনিক ডায়মন্ড টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করতে হবে।

৫) বর্তমানে যেসব গোল্ড টেস্টিং ল্যাব ও হলমার্ক সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেসব ল্যাবের রিপোর্ট সঠিক কি না, তা নিয়মিত তদারকির জন্য বাজুস ও বিএসটিআইর সমন্বয়ে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে।

৬) অবৈধভাবে কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যাতে ওজন পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহারের সুযোগ না পায়, সে জন্য বাজুস ও বিএসটিআইর মাধ্যমে যৌথভাবে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭) বাজুস ও বিএসটিআইর মাধ্যমে যৌথভাবে নিয়মিত ওজন পরিমাপক যন্ত্র পরীক্ষা করতে হবে।

৮) বেসরকারি পর্যায়ে গোল্ড টেস্টিং ল্যাব স্থাপনে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআই ও বাজুসের গাইড লাইন মেনে দ্রুত সময়ে যাতে এর অনুমোদন পায় তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দাবির বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাজুসের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি সময় উপযোগী পরিকল্পনা নেয়া হবে। বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা দ্রুত বিশ্ববাজারে যেতে চাই, রফতানি করতে চাই, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই।

ট্যাক্স ভ্যাট বিষয়ে তিনি বলেন, স্বর্ণ আমদানি করে আনতে হয়। জুয়েলারি শিল্প যেহেতু আমদানিনির্ভর তাই ভ্যাট, ট্যাক্স নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে কথা বলা হবে।

শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে স্বল্প মূল্যে শ্রমিক পাওয়া যায়, ফলে অনেক কম খরচে জুয়েলারি তৈরি করা যায়। যা বিশ্ববাজারে প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে বাজুসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

বিএসটিআইর মাধ্যমে যৌথভাবে নিয়মিত ওজন পরিমাপক যন্ত্র দিয়ে জুয়েলারি পণ্য পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, অবৈধভাবে কোনো জুয়েলারি ব্যবসায়ী যাতে ওজনে কারচুপি করতে না পারে, সে জন্য বাজুস ও বিএসটিআইর মাধ্যমে যৌথভাবে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে বিএসটিআইয়ের একটি স্বর্ণ পরীক্ষার যন্ত্র বসানোর জন্য আলাপ আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সহসভাপতি মো. রিপনুল হাসান, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহসম্পাদক মোস্তফা কামাল, কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল উদ্দিন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা প্রমুখ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন