হোম চট্টগ্রামনোয়াখালী বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অন্য পক্ষের হামলা, আহত ১০

বিএনপির এক পক্ষের মানববন্ধনে অন্য পক্ষের হামলা, আহত ১০

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 8 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
নোয়াখালীতে বিএনপির এক পক্ষের ঠিকাদারি কাজে বাধা, হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন-সমাবেশে অন্য পক্ষের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পথচারী-সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় হামলাকারীরা গণমাধ্যমকর্মীদের লক্ষ্য করে এবং নোয়াখালী প্রেসক্লাবে ব্যাপক ইটপাটকেল মারতে থাকে। সড়কে থাকা একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসও ভাঙচুর করে তারা।

জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা ও ঠিকাদার আবদুল করিম মুক্তার আয়োজনে একটি মানববন্ধন চলছিল। নোয়াখালী শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে মুক্তার ঠিকাদারি কাজে বাধা, এক্সকাভেটর মেশিন ভাঙচুর ও শ্রমিকদের কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে মানববন্ধনটির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ করে শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছেরের ছোট ভাই জুয়েলের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মানববন্ধনে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পথচারী সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। ভাঙচুর করা হয় যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ ও সেনবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

মানববন্ধনের আয়োজক বিএনপি নেতা আবদুল করিম মুক্তা বলেন, ‘আবু নাছেরের লোকজন গতকাল (মঙ্গলবার) আমার লোকজনের ওপর হামলা করে তাদের আহত করে। আমার মাটি কাটার মেশিন ভাঙচুর করে। তার প্রতিবাদে আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত দিয়েছি এবং মানববন্ধনের আয়োজন করেছি। তারা সেখানেও হামলা চালায় এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। আমি এর বিচার চাই।’

শহর বিএনপির সভাপতি আবু নাছের বলেন, ‘ঠিকাদারি কাজে বাধা, হামলা কিংবা মানববন্ধনে হামলা—দুটোর কোনোটাই আমি জানি না। সাংবাদিকদের ওপর যারা হামলা করেছে তারা নিন্দনীয় কাজ করেছে। এটা চরম অন্যায় করেছে। আমার ভাই সেখানে উপস্থিত ছিল কিনা তা আমার জানা নেই। বিষয়টি আমি খোঁজ নিচ্ছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামিম বলেন, ‘সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়টি দুঃখজনক। আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আমাদের দলীয় কোনও নেতা যদি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে তবে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন