বাণিজ্য ডেস্ক:
বাংলাদেশে ভাতের কোনো অভাব নেই উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে বছরে চার কোটি টন ধান উৎপাদন হচ্ছে। দানাজাতীয় খাবারে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
বুধবার (৭ জুন) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে ভাতের কোনো অভাব নেই। বছরে চার কোটি টন ধান উৎপাদন হচ্ছে। দানাজাতীয় খাবারে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
একই সঙ্গে সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বছরে ৩ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়ন মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হচ্ছে।
তবে যাদের কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দেয়াকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। কারণ, মেধার বিকাশ ও সৃজনশীলতা বাড়াতে এর বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাও কাজ করছে।’
কৃষির উন্নয়ন করে মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষের আয় বাড়ালে কৃষি বাঁচবে, বিভিন্ন খাতও সমৃদ্ধ হবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো উদ্যোগে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে কৃষি মন্ত্রণালয়।
জনগণ পাশে থাকলে আগামী মেয়াদে পুষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াই এ সরকারের লক্ষ্য হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষমতা পাওয়ার পরই গত ১৫ বছরে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছি। আমরা ২০১৫ সালেই এমডিজির (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) সব লক্ষ্য অর্জন করেছিলাম, যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত।’
‘আজ বাংলাদেশে দারিদ্র্য মাত্র ১৯ শতাংশ। জিডিপির হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। মাথাপিছু আয়, শিক্ষা, অর্থনীতি সবকিছুতেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আমরা সারা দেশে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আমরা ২৭০০০ মেগাওয়াটের সক্ষমতা অর্জন করেছি। এখন লোডশোডিং হচ্ছে। কারণ, বিশ্বমন্দা।’