হোম অন্যান্যসারাদেশ বর্ণাঢ্য আয়োজনে নবীনদের বরণ করলো ইবি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নবীনদের বরণ করলো ইবি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 26 ভিউজ
ইবি সংবাদদাতা:
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ২ সহস্রাধিক শিক্ষার্থীদের ফুল ও উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ইসলামিক থট (বিআইআইটি) এর পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ।
অনুষ্ঠানে ওরিয়েন্টেশন স্পিকার ছিলেন আল মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাখা ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘তোমরা চারটি স্টেজ পার করে এখানে এসেছো। তোমাদের পিতামাতা এতদিন হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিল শিক্ষা গ্রহণের জন্য৷ তোমাদের ফাউন্ডেশন সেখানেই গড়া হয়েছে। আজ তোমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছো। এখন তোমরা এমন জায়গার ছাত্র যে বিদ্যালয়ের পরিচয় হলো বিশ্বমানের বিদ্যালয়। তোমরা যে মুক্ত মন নিয়ে এসেছো, পবিত্র হৃদয় নিয়ে এসেছো এই হৃদয় নিবেদিত হবে শিক্ষার প্রতি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তোমাদের বাবা মার স্বপ্ন পূরণ করতে হলে বেশি বেশি পড়াশোনা করতে হবে। না পড়তে নিজেদেরকে তৈরি করতে পারবে না। তোমাদের সবচেয়ে পবত্র জায়গা হবে তোমাদের ক্লাসরুম, সবচেয়ে ভালো বন্ধু হবে তোমার শিক্ষক। শিক্ষকরা সবক্ষেত্রে তোমাদের সহায়তা করবে। গুরু-শিষ্যর সম্পর্ক না থাকলে তোমরা সঠিক মানুষ হতে পারবা না। তোমাদের সম্পর্ক থাকবে ক্লাসরুম, শিক্ষক, লাইব্রেরি এবং আবাসিক হলের সাথে।’
অনুষ্ঠানের ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, শহীদদের স্মরণে দোয়া ও নীরবতা পালন, ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তদের পুরষ্কার প্রদান ও অতিথিদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন।
এদিকে, অনুষ্ঠান উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে জুলাই গণ-অভ্যত্থানের স্মৃতি দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে রক্তাক্ত জুলাইয়ের স্মৃতি বিজড়িত প্ল্যাকার্ড-পোস্টার, আল্পনা ও গ্রাফিতি এঁকেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন সমাজিক সংগঠন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন