অনলাইন ডেস্ক:
প্রাণঘাতি করোনা আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু ঘোষণার প্রস্তুতি ছিল চিকিৎসকদের। রোববার (৩ মে) ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য সানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, আইসিইউতে তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। তাকে বাঁচাতে লিটারের পর লিটার অক্সিজেন লেগেছে। এমনকি কিছু হলে পরবর্তী করণীয়ও ঠিক করে রাখা হয়েছিল বলেও জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বরিস বলেন, ‘অস্বীকার করবো না, এটা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। অবস্থা এমনটা হয়েছিল যে, চিকিৎসকরা মৃত্যু ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে কি না তা বুঝতে সারা শরীরে তার জড়িয়ে মনিটরের সঙ্গে লাগানো ছিল।’
৫৫ বছর বয়সী এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার শ্বাসনালী দিয়ে টিউব প্রবেশ করানোর সময় বাঁচার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি চলে আসে। তবে চিকিৎসকদের দক্ষতায় এ দফায় বেঁচে যাই। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
অপরদিকে, সুস্থ হয়ে সদ্যজাত সন্তানকে দেখতে ছুটে যান বরিস। চিকিৎসকদের নাম উৎসর্গ করে নতুন ছেলের নাম রাখেন উইলফ্রেড ল্যারি নিকোলাস জনসন।
নামকরণের ব্যাখ্যায় বরিস বলেন, ‘ল্যারির নাম তার বাবার দাদা উইলফ্রেড এবং দাদি লরির নামানুসারে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ওর বাবা যে দুমাস করোনায় অসুস্থ ছিলেন, তাকে যে দুজন চিকিৎসক প্রাণে বাঁচিয়েছেন তাদের সম্মানে নিকোলাস শব্দটি বেছে নেওয়া হয়েছে। সেই চিকিৎসকদের নাম হলো ডা. নিক প্রাইস এবং ডা. নিক হার্ট।’
তিনি বলেন, ‘এটা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল যে, মাত্র কয়েকদিনেই আমার শরীর এতটা ভেঙে পড়েছিল। যদি খারাপ কিছু ঘটে তার জন্য চিকিৎসকরা সব ধরনের ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন।’
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। অবস্থার অবনতি হলে ৫ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত আইসিইউতে থাকেন বরিস। পূর্ণ সুস্থ হয়ে গত সোমবার ২৭ এপ্রিল (সোমবার) স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন তিনি।