যশোর অফিস:
মাদক পাচারের অভিনব কায়দায় আবিস্কার করেছে ব্যবসায়ীরা। কিন্তু পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় তা কোনোভাবেই ধোপে টিকছে না। পায়ে ফেনসিডিল রেখে ব্যান্ডেজ জড়িয়ে পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে যশোর পুলিশ।
ঘটনাটি এমন, প্রাইভেটকারের সিটে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন এক ব্যক্তি। ডান পা ভাঙা তাই ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। গাড়ির কাছে পুলিশের উপস্থিতি দেখেই ওই ব্যক্তির চেহারায় ভীতির ছাপ ফুটে ওঠে। এতেই সন্দেহ হয় পুলিশ সদস্যদের। ওই ব্যক্তিকে জিঙ্গাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে তার দেহ তল্লাশি করে পায়ের ব্যান্ডেজের ভেতর পাওয়া যায় ৪৮ বোতল ফেনসিডিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় মাদক পাচারকারী যুবক জামাল হোসেন (৪৫) ছাড়াও তার গাড়িচালক আজিজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে প্রাইভেটকারটিও।
মাদক পাচারকারী জামাল মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পয়সা গ্রামের বাসিন্দা। প্রাইভেটকার চালক আজিজুলের বাড়ি শার্শার কাজিরবেড় গ্রামে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) জুয়েল ইমরান জানান, আটক জামালের পায়ের ব্যান্ডেজটা স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক মোটা ছিল। তিনি পঙ্গুর বেশ ধরে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পাচারের কাজ করছেন বলে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে যশোরের ঝিকরগাছা থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলাও রয়েছে।
শার্শা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলাম জানান, আটক জামালকে শুক্রবার যশোর আদালতে হাজির করার পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।