বিশেষ প্রতিনিধি :
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতি ক দুর্যোগ বাড়ছে। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে এই অঞ্চলের প্রাণ ও প্রকৃতির। বিস্তীর্ণ উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করতে হবে।
আজ বুধবার পাইকগাছা স্মৃতিসৌধের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে এই দাবি জানান নাগরিক সমাজ ও পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। নাগরিক সংগঠন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্রের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান লিপীকা ঢালী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন বুলু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য সাকিলা পারভীন, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়ার্দ্দার, বেসরকারী সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল, জনউদ্যোগের মহেন্দ্রনাথ সেন, নাগরিক নেতা অ্যাডভোকেট প্রশান্ত মণ্ডল, কৃষক নেতা কৃষ্ণপদ মণ্ডল, পাইকগাছা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, তালা প্রেস ক্লাবের টিপু সুলতান, কপিলমুনির সাংবাদিক তপন পাল, হরিঢালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সরদার মোজাফ্ফর হোসেন, ইউপি সদস্য রাজীব গোলদার, অধ্যক্ষ মো. শিমুল বিল্লাহ বাপ্পি, নাগরিক নেতা আব্দুল মজিদ, প্রদীপ দত্ত, আবুল কাশেম গাজী, রবীন মণ্ডল, শেখ আসানুর রহমান, মৃণাল গাইন প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। দূর্গত এলাকায় এখনো মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সুপেয় পানির সংকটে ভূগছে সমগ্র এলাকাবাসী। তারা আরো বলেন, উপকুলী জেলাগুলোতে লবণ পানির বাগদা চিংড়ি রপ্তানী করে সরকার প্রতিবছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে।
কিন্তু সেই চিংড়ি চাষ এই এলাকায় লবণপানি উত্তোলনের জন্য যে দীর্ঘমেয়াদী নিরাপদ পানির সংকট তৈরী হয়েছে, সেই সংকট উত্তরণে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে ঝুঁকিতে বিশ্বঐতিহ্য সুন্দরবনসহ সমগ্র উপকূল। এই অবস্থায় হাওড় উন্নয়ন বোর্ডের ন্যায় উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা জরুরী বলে তারা দাবি করেন।
বক্তারা বলেন, যতই সংস্কার করা হোক না কেন, ৬০ দশকে তৈরি করা আয়তনে ছোট উপকূলীয় বেড়িবাঁধ কোন ভাবেই ওই অঞ্চলকে সুরক্ষা দিতে পারবে না। তাই দ্রুত জলবাযু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগকে বিবেচনায় রেখে নতুন পরিকল্পনায় বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের নেওয়া প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরী তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে।