নড়াইল অফিস :
নড়াইলে কলেজ ছাত্র দ্বীপ্ত সাহা (২২) হত্যাকান্ডে ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকান্ডে সাথে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয় ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে কলেজ ছাত্র দীপ্ত সাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়ার নেতৃত্বে হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে, মোটরসাইকেলটির জন্য তারই কাছের লোকেরা এই নির্মম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার ও আসামিদের ধরতে দিনভর বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালায়।
শনিবার গভীর রাতে নড়াগাতী থানাধীন বাওইসোনা এলাকা থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার ও হত্যাকান্ডে জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়। পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বলেন, কলেজ ছাত্রের নির্মম হত্যাকান্ডের পর আমাদের প্রথম কাজ ছিল হত্যার কারণ শনাক্ত করা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, মোটরসাইকেলের জন্য এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে আটকদের নাম প্রকাশ করছি না।
উল্লেখ্য নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের হোগলা ডাঙ্গা গ্রামের দ্বীনোবন্ধু সাহার ছেলে ও নড়াইল সিটি কলেজের ছাত্র দীপ্ত সাহা (২২) নির্মম ভাবে খুন হন। শুক্রবার (২৪ ফেব্রæয়ারি) বিকালে হোগলা ডাঙ্গা এলাকায় নামযজ্ঞের মেলায় দেখার উদ্দেশে নিজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন দ্বীপ্ত। রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না ফেরায় দীপ্তর বাবা অনুমান করেন হয়ত কোনো বন্ধু বা বোনের বাড়িতে গেছে ।
পরদিন শনিবার বেলা ১১টার দিকে দীপ্তর বাড়ির অদূরে হাজরা মহাশ্মশান এলাকায় মাছের ঘেরে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে হাত বাধা অবস্থায় ঘেরের কিনারা থেকে কলেজ ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করে।
দীপ্তর গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। এসময় তার পকেট থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তবে সে সময় তার মোটরসাইকেলটি না পাওয়ায় পুলিশ ধারনা করে মটরসাইকেল ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।