নড়াইল অফিস:
নড়াইলে হরতালে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও প্রভাব পড়েছে পরিবহনে। সকাল থেকে ঢাকাা উদ্দেশ্যে বাস ছাড়ছে ধীরে ধীরে। হরতালের কারনে যাত্রীসংখ্যা খুবই কম হওয়ায় ঢাকা গামী পরিবহন গুলো বাস ছাড়ছে না। সাতক্ষীরা,বেনাপোল,চুয়াডাঙ্গা থেকে কোন পরিবনই ঢাকা উদ্দেশ্যে আসেনি। নড়াইলের আভ্যন্তরীন রুটে বাস চলাচল করলেও নড়াইল-যশোর সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। যারা বিপদে পড়ে যাচ্ছেন তাদের ভরসা ইজিবাইক। সেখানে কয়েকগুন ভাড়া দিয়ে তারা যাচ্ছেন,দুরের যাত্রীরা অনিশ্চিতভাবে রওনা হয়েছেন।
নড়াইল পুরাতন বাস টার্মিণাল এলাকায় যশোর যাবার জন্য যাত্রীদের ভীড়। ইজিবাইকে করে যাচ্ছেন সবাই,কেউ কেউ ফিরে যাচ্ছেন নিজ বাড়িতে। সাতক্ষীরা যাবার উদ্দেশ্যে আত্বীয়বাড়ি থেকে বেবর হয়ে বিপাকে নুরজাহান বেগম। বলেন,আমি সাতক্ষীরা যাব কিভাবে যাব জানিনা,এখান থেকে ইইজবাইকে যশোর তারপর যেভাবে পারবো সেভাবে যাব। অসুস্থ বোনকে দেখতে যশোর থেকে এসেছিলেন হাসনাবানু। বলেন,আজকে হরতাল এটা আমি জানতাম না তাই অসুন্থ শিশুকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হচ্ছে,চরমম ভোগান্তিতে আছি।
নড়াইল থেকে ঢাকা উদ্দেশ্যে প্রতি ২০ মিনিট পরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে নড়াইল এক্সপ্রেস পরিবহন। এখানকার ম্যানেজার লুইস হোসেন বলেন,আজকে যাত্রী রাস্তায় নেই। দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২০টা গাড়ি ছাড়া কথা আজ ছেড়েছি মাত্র ৫টি তাও অর্ধেক যাত্রী।
দোকানপাট স্বাভাবিক দিনের মতোই খোলা। হরতালের সমর্থনে বিএনপি বা কাউকে পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। আওয়ামীলীগের দখলে ছিলো পুরো এলাকা। শান্তি সমাবেশ না হলেও বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের হরতাল বিরোধী পদযাত্রা হয়েছে। বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু,বলেন,আমরা হরতাল করে নৈরাজ্য ঢেকাতে রাজপতে আছি যারা নৈরাজ্য করবে তাদের নড়াইল থেকে তাড়াতে চ্যালেঞ্জ নিয়ে রাজপতে আছি।
জেলা বি এনপি সাধরন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা গেছে,ঢাকা ও ভাঙ্গা থেকে তাদের দুইজন নেতাকে পুলিশশ আটক করেছে।