অনলাইন ডেস্ক:
১২ বছরের এক শিশুকন্যাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৫ বছর আগে সিলেটের বটেশ্বর এলাকায় এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বটেশ্বর এলাকার আনোয়ার হোসেন, মো. খোকন মিয়া, ফয়সল আহমদ ও মো. আনাই মিয়া। এর মধ্যে প্রধান আসামি আনোয়ার পলাতক। তবে বাকি তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী জানান, ২০০৯ সালের ৪ জানুয়ারি বিকালে বটেশ্বর এলাকার ওই শিশু তার দুই ছোট ভাইকে নিয়ে গরু চরাতে ক্যান্টনমেন্টের পাশের একটি মাঠে যায়। কিন্তু সন্ধ্যায় ছোট দুই ভাই গরু নিয়ে বাড়ি ফিরলেও ফিরেনি তাদের বোন। সারা রাত পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। পরদিন সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই গরু চরানোর মাঠের পাশের একটি নির্জন টিলার উপর একটি গর্তের মাঝে ১২ বছরের শিশুর বিবস্ত্র ও রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে। মরদেহটির বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ওই সময় পুলিশ জানায়, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে তাকে করা হয়েছে গণধর্ষণ।
ঘটনার পর মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর আনোয়ার, খোকন, ফয়সল ও আনাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং রিমান্ডে নেয়। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত।
এদিকে, আদালতে মামলার চার্জশিট দাখিলের আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আসামি আনোয়ার পালিয়ে যান। তিনি এখনো পলাতক। বাকি আসামিরা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।