হোম ঢাকা ‘দে ধাক্কা’ ও ‘ডায়মন্ড’ গ্যাংয়ের সদস্যরা যা করত

‘দে ধাক্কা’ ও ‘ডায়মন্ড’ গ্যাংয়ের সদস্যরা যা করত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 88 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে ‘ডায়মন্ড’ ও ‘দে ধাক্কা’ কিশোর গ্যাংয়ের মূল হোতা মো. জুলফিকার আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, দুটি চাপাতি ও সাতটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মোহাম্মদপুরের হাউজিং সোসাইটিতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র‌্যাব-৩-এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: মো. জুলফিকার আলী (৩৭), তার অন্যতম সহযোগী মো. হারুন অর রশিদ (৩৮), মো. শামছুদ্দিন বেপারি (৪৮), কৃষ্ণচন্দ্র দাস (২৮) ও মো. সুরুজ মিয়া (৩৯)।

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, পেশায় তারা কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ চা-বিক্রেতা কিংবা প্রাইভেটকার চালক। মাদক সেবনের আড্ডার মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সখ্য। পরে জুলফিকার ও তার সহযোগীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠে ‘ডায়মন্ড’ ও ‘দে ধাক্কা’ নামে দুটি কিশোর গ্যাং।

তিনি বলেন, গ্যাং দুটির সদস্যরা নিজেদের আধিপত্য জানান দিতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রায়ই মহড়া দিত। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময় প্রতিপক্ষ কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ত।

র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, কিশোর গ্যাং সদস্যরা নিজেদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে পথচারীদের মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করত। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ঠিকাদারের কাজ আটকে দিত।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন