হোম শ্যামনগর দুর্ঘটনায় সাতক্ষীরার ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

দুর্ঘটনায় সাতক্ষীরার ইন্টার্ন চিকিৎসকের মৃত্যুর ১০ দিন পর চলে গেলেন বাগ্‌দত্তাও

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 68 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:
গত ৩০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সোনামুর মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডল (২৬)। সঙ্গে থাকা প্রতিভা সরকার ছিলেন অর্ঘ্যের বাগ্‌দত্তা। তিনিও সেই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন।

১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রতিভা সরকারের। প্রতিভা ছিলেন ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

প্রতিভা সরকার (২১) সাতক্ষীরার বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বিপ্রজিৎ সরকার ও তালা উপজেলা মহিলাবিষয়ক অফিসের প্রধান সহকারী দেবকী রায় দম্পতির মেয়ে। তারা দীর্ঘদিন ধরে তালা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়া গ্রামে।

প্রতিভার বাবা বিপ্রজিৎ সরকার বলেন, অর্ঘ্য ও প্রতিভা ৩০ জুন ঢাকা থেকে মোটরসাইকেলে সাতক্ষীরায় আসছিলেন। পথে গোপালগঞ্জে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। ঘটনাস্থলে মারা যান অর্ঘ্য। প্রতিভাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৫ জানুয়ারি অর্ঘ্য অমৃত মণ্ডলের সঙ্গে প্রতিভা সরকারের বিয়ে ঠিক হয়। কিন্তু ১৭ জানুয়ারি অর্ঘ্যের এক জেঠা (বাবার চাচাতো ভাই) মারা যাওয়ায় বিয়ে পিছিয়ে দিয়ে পারিবারিকভাবে তারিখ পরে ঠিক করার সিদ্ধান্ত হয়। মৃত জেঠার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বাড়িতে আসছিলেন অর্ঘ্য। বাগ্‌দত্তা প্রতিভাও ছিলেন তার সঙ্গে। ইচ্ছা ছিল, ৩১ জানুয়ারি শ্রাদ্ধানুষ্ঠান শেষে সবাই বসে তাদের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করবেন।

নিহত অর্ঘ্য সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সদরের চণ্ডীপুর গ্রামের অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও মিনতি রানী মণ্ডল দম্পতির ছেলে। অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর তারকানাথ বিদ্যাপীঠের ক্রীড়াশিক্ষক। অর্ঘ্য মা–বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রামে।

বিপ্রজিৎ সরকার জানান, প্রতিভার মরদেহ শনিবার রাত ১০টার দিকে তালায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি কয়রা উপজেলার মঠবাড়িয়ে গ্রামে। রোববার গ্রামের শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন