হোম অন্যান্যসারাদেশ থানায় ‘নির্যাতনে’ আসামির মৃত্যু, তদন্ত কমিটি

অনলাইন ডেস্ক:

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে থানাহাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।

বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হাসিবুল ইসলামকে। অন্য সদস্যরা হলেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে ও কোর্ট পরিদর্শক কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, কমিটিকে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানায়, বানিয়াচং উপজেলা সদরের নন্দিপাড়া গ্রামের মিহির উদ্দিনের ছেলে গোলাম রাব্বানীকে মঙ্গলবার বিকেলে বড় বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাদের জন্য থানার একটি কক্ষে রাখা হয়। রাত সাড়ে ৭টার দিকে ওই কক্ষের ভিতরে শিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই কক্ষে তার পড়নে থাকা গেঞ্জিসহ কাপড় দিয়ে তিনি শিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। পরদিন ময়না তদন্ত শেষে বুধবার রাতে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে নিহতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের ২৫ বছর বয়সী টগবগে সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে তাকে অমানষিক নির্যাতন করে খুন করে আত্মহত্যা বলছে পুলিশ। লাশের গায়ে অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে বলেও জানান তারা। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠিন শাস্তি দাবি করেন তারা। এদিকে লোমহর্ষক এ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি র দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, প্রাথমিকভাবে সে আত্মহত্যা করেছে বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ কমিটি রিপোর্ট দেবে।

বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৭টার দিকে শিলিং ফ্যানের সঙ্গে তাকে ঝুলতে দেখা যায়। পরে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক রাব্বানিকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন পরনে থাকা গেঞ্জিসহ কাপড় দিয়ে তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেন। গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে বানিয়াচং থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে গোলাম রাব্বানীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে পুলিশ। আর এতেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন