অনলাইন ডেস্ক:
টাকা হাতিয়ে নিতেই রাজবাড়ীর কালুখালীতে বিকাশ এজেন্ট ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী শরিফ খান (৪০) কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শরিফ হত্যার মূল হোতা মো. তরিকুল ইসলাম (২০) গ্রেফতারের পর হত্যার কথা স্বীকার করে এই তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়া তরিকুল কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের রূপসা গ্রামের চাঁদ আলী শেখের ছেলে। নিহত শরিফ একই ইউনিয়নের ধানবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ।
পুলিশ সুপার বলেন, শরিফ খান রূপসা স্লুইচগেট বাজারে বিকাশ এজেন্ট ও ফ্লেক্সিলোডের দোকান করতেন। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রূপসা স্লুইচগেট বাজারের পাশে গায়েবি মসজিদে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ইয়াছিন আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে ওয়াজ শুনতে যান শরিফ খান। রাত ১১ টার দিকে ওয়াজের মাহফিল থেকে শরিফকে ডেকে নিয়ে আসেন রূপসা স্লুইচগেট বাজারের চা দোকানি তরিকুল ইসলাম। এর কিছুক্ষণ পরেই বাজারের জাদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরিফের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। তার মাথা ও ঘাড়সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, তরিকুল জুয়া খেলায় আসক্ত এবং সে অনলাইনে জুয়া খেলে বহু টাকা হেরে যাওয়ায় প্রতিবেশী দোকানি শরিফ খানকে হত্যা করে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করে। শরিফকে হত্যার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে একটি ধারালো দা সংগ্রহ করে এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ওয়াজের মাঠ থেকে শরিফকে ডেকে এনে কুপিয়ে হত্যা করে। তবে শরিফকে হত্যার পর তরিকুল ঘাবড়ে যায় এবং টাকা না নিয়েই সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরিফের স্ত্রী আছমা খাতুন বাদী হয়ে কালুখালী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই হত্যার কারণ উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর ছিল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা তরিকুলকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। একইসঙ্গে তরিকুলের চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।