হোম খেলাধুলা টাইগার শিবিরে বড়সড় রদবদলের আভাস, পরিকল্পকনায় বিশ্বকাপ

টাইগার শিবিরে বড়সড় রদবদলের আভাস, পরিকল্পকনায় বিশ্বকাপ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 90 ভিউজ

খেলাধূলা ডেস্ক :

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমূল বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে ইতোমধ্যে স্কোয়াড গঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছেন নির্বাচকরা। সেই সঙ্গে চলতি বছরই তিন ফরম্যাটের জন্য আলাদা দল গঠনের পরিকল্পানাও তাদের।

এদিকে পাইপলাইনকে আরো শক্তিশালী করতে, বিসিবির চুক্তিতে বাড়ছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সংখ্যা। বাড়ছে তাদের বেতনে টাকার অংকও।

২০০৬ থেকে ২২। বিগত ১৬ বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটটা কতটুকু শিখতে পেরেছে বাংলাদেশ? উত্তরটা আছে টাইগারদের মলিন পারফরম্যান্সেই। দল গঠন থেকে শুরু করে মাঠের ক্রিকেট, কোথাও সাহসী হতে পারেননি কেউই।

১ বছর বাদেই মার্কিন মুলুক আর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে পরবর্তী বিশ্বকাপ। হাতে সময় কম তবে এবার আটঘাট বেঁধেই নামছে নির্বাচক প্যানেল। আর তাদের সাহস যোগাচ্ছে চলতি বিপিএলে তরুণদের ফর্ম। তাইতো টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে বড়সড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত নির্বাচকদের। শুরুটা করতে চান ইংল্যান্ড সিরিজ দিয়েই।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘পরবর্তী বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে এই একটা বছর সময় আছে। এই বিপিএলটা আমাদের নিঃসন্দেহে চিন্তার খোরাক দিচ্ছে। নতুন খেলোয়াড়দের দিকে আমরা নজর দিচ্ছি, নতুন খেলোয়াড়ও বাড়ছে। এই এক বছরে, ২০২৪ বিশ্বকাপের আগেই আমার মনে হয় আমরা দলটা গুছিয়ে নিতে পারব। দলে যতই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে, যত স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা হবে, দলটা তত ভালো করবে।

এ সময়ে জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও জানান, সবকিছু ঠিকমতো চললে পরবর্তী তিনটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চমক দেখাতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, পরবর্তী তিনটা বিশ্বকাপ আমাদের জন্য বিশেষ হতে যাচ্ছে। এখন সবাই পারফর্ম করছে তো, তাই দিনশেষে দেখা যাবে যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমরা যে ধরনের দল চাচ্ছি, ঠিক সে ধরনের পারফর্মারদের আমরা পরবর্তী বিশ্বকাপে দলে নিতে পারব।’

কোভিড পরবর্তী ক্রিকেটে ব্যস্ততা বাড়ছে দলগুলোর। তাইতো অধিকাংশ দেশেরই তিন ফরম্যাটের জন্য আছে আলাদা স্কোয়াড। টেস্ট ওয়ানডে টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা দল গঠনের কথা বলেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি বিসিবি। তবে চলতি বছর তা করে দেখাতে চান নির্বাচকরা।

সুমন বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচ ও টি-টোয়েন্টি, এই দুই ফরম্যাটে আমরা এখনও স্ট্রাগল করছি। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি এই দুই ফরম্যাটে দল গঠন করাটা খুব বিপদ।’

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘এখন অনেক খেলা। খেলোয়াড়দের ইনজুরি সমস্যা হয়, ফিটনেসের সমস্যা হয়। সব ভেবে ওদের ফিট রাখতে, খেলোয়াড়দের সংকট কমাতে আমরা একটা পুল বানাচ্ছি। আমরা আশা করছি, এখানে অবশ্যই তিন ফরম্যাটের জন্যই কিছু স্পেশালিস্ট খেলোয়াড় আমরা তৈরি করব।’

এখন প্রশ্ন এসেই যায়, এত মানসম্মত ক্রিকেটার কোথায় পাবেন নির্বাচকরা? – সে শূন্যস্থান পূরণে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে প্রথম শ্রেণির চুক্তিতে। যেখানে বাড়তে পারে ক্রিকেটারদের সংখ্যা। বেতনসহ বাড়বে সুযোগ সুবিধা।

নান্নু বলেন, ‘অলরেডি আমরা এটা জমা দিয়ে দিয়েছি। এটা প্রায় নব্বইজনের মতো, আরও কিছু খেলোয়াড়কে হয়ত যোগ করা হবে। পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে এটা পাশ হওয়ার পর আমরা এটা প্রকাশ করব। এটা প্রায় তৈরি হয়েই গেছে এবং এটা পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই এবার দেওয়া হয়েছে। আমাদের একটা ক্রাইটেরিয়া ছিল যে, কমপক্ষে ৩টা ম্যাচ খেলতে হবে। তিনটা ম্যাচের সঙ্গে আমরা যোগ করেছি পারফরম্যান্স।

টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটারদের আরো আগ্রাসী করতে কমপক্ষে ১২০ স্ট্রাইকরেটের একটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করে দেয়ার পরিকল্পনা নান্নু-বাশার-রাজ্জাকের নির্বাচক প্যানেলের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন