যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একেবারে শেষ সীমান্তে অবস্থিত অন্যতম ইউনিয়ন শংকরপুর। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এবার পরিচিত মুখ হিসেবে নৌকার মাঝি হতে চান করোনা কালিন সময়ে অসহায়দের পাশে থাকা, অবহেলিত উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত এ ইউনিয়নকে আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ এ জনপদে নৌকার মাঝি হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর মানুষের সেবা করতে চান ১০নং শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম।

আসছে আগামী মার্চের কোন এক সময়ে নির্বাচন কমিশন দেশব্যাপি ইউনিয়ন পরিষদের তফসীল ঘোষনা করতে পারে। সে লক্ষে ঝিকরগাছায় প্রতিটি ইউনিয়নে ক্ষমতাসীন দলে প্রার্থীর ছড়াছড়ি। এ তালিকায় পুরাতন আর নতুনদের সাথে হাইব্রীড ও সুবিধাবাদীদের সংখ্যা কম নয়। যে কারণে নৌকা প্রতীক নিয়ে জটিলতা সৃষ্ট হতে পারে। সে সকল জটিলতাকে উপেক্ষা করে এবার আসন্ন নির্বাচনে উপজেলার ১০নং শংকরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ, ডাঃ আফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বারবার নির্বাচিত সংগ্রামী সভাপতি, শংকরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  প্রতিটি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রক্তের সম্পর্ক, ২০০১ সালে জামাত বিএনপির নির্মম নির্যাতনের শিকার, দুর্দিনের কান্ডারী, মুজিব আদর্শের সৈনিক, অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম।

নির্বাচনী মাঠে তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তিনি সবার পরিচিত মানুষ। যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন তিনি যে কোন মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না-ছুটে যান বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে। বিয়ে-সাদী, অভাবী, কর্মহীন মানুষকে সহযোগিতা করা, যুব সমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদী করে গড়ে তোলার চেষ্টার পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে অংশগ্রহণে সব সময় নিজেকে জড়িয়ে রাখেন। ইউনিয়নের সকল বয়সী ও শ্রেণি পেশার মানুষের পরিচিত এবং আপনজন অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম।  জনগণের ইচ্ছা ও ভালবাসার প্রতিদান দিতে তাই এবার নৌকার মাঝি হতে চায় তিনি।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সংগামী সভাপতি অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজনীতি আর সমাজ উন্নয়নে এ ইউনিয়নের প্রতিটি পরতে-পরতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করেন শুধু ব্যক্তিগত সহযোগীতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব না। তাই বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার প্রার্থী হতে চান। যে কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন তিনি।

এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারনে তারা এবার শরিফুল ইসলাম কে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চান।

শংকরপুর ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য তার বিকল্প নাই। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের যুবসমাজ, ছাত্রসমাজসহ কৃষক-শ্রমিক, বয়োবৃদ্ধ ও সাধারণ জনগণের বেশিরভাগ অংশই অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন।এবার তারা অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম কে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চায়।