কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি :
দীর্ঘ দুই বছর করোনা মহামারীর ভয়াল থাবা আর এক মাস সিয়াম সাধনার পর হাঁপিয়ে ওঠা মানুষ গুলো যেন শ্রান্তি- বিনোদনের জন্য পাগল পাড়া হয়ে আছে। তাইতো ভৈরব- কুলিয়ারচরের সংযোগ আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান সেঁতুতে নিয়মিত পর্যটকদের ভীড় লেগেই আছে। দুই বছর মানুষের পদচারণায় মুখরিত না থাকা এ সেতুটি এখন জন সমাগমে যেন তার প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের দিন জিল্লুর রহমান সেতুতে এতটাই ভীড় ছিলো যে এখানে আসা পর্যটকরা আতঙ্কে ছিলো মানুষের ভরে কখন জানি সেতুটি ভেঙ্গে যায়। শুধু তাই নয়, এর ফলে কুলিয়ারচর- দ্বাড়িয়াকান্দি, কুলিয়ারচর- বাজিতপুর, কুলিয়ারচর- বাজরা ও কুলিয়ারচর- মানিকদী রাস্তা গুলো ছিলো ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আবদ্ধ। ঈদ-উল-ফিতরের দ্বিতীয়দিনও ছিলো জিল্লুর রহমান সেতুতে মানুষের উপচে পরা ভীর।
জন সাধারণকে নিরাপত্তা দিতে কুলিয়ারচর থানা পুলিশও ছিলো সদা সক্রিয়। সেতুতে কেউ আসছে পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ আসছে প্রেমিক যুগল, কেউবা আবার আসছে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা আর সময় পার করতে। এখানে আগত পর্যটকদের মধ্যে গান, গল্প, আর আবৃত্তি চর্চা না থাকলেও আছে মোবাইলে সেল্ফি তোলা কিংবা টিকটক তৈরির কাজ।
এক সময় বখাটেদের ছিনতাই, শ্লীলতাহানি ও সেতুতে ঘুরতে আসা নারীদের ধর্ষণ আতঙ্ক থাকলেও এখন তা নেই। আজ ঈদের তৃতীয় দিন সকালেও জিল্লুর রহমান সেতুতে ছিলো মানুষের স্বরব উপস্থিতি। এ লোক সমাগম আরও ২/৩ থাকতে পারে বলে জানালেন স্থানীয়রা।
জিল্লুর রহমান সেতুতে ঘুরতে আসা রেজওয়ান আহমেদ তামিম বলে, আমি ঢাকা থাকি। ঈদে গ্রামে বেড়াতে এসেছি। জিল্লুর রহমান সেতুতে মুক্ত হাওয়া আর মুক্ত পরিবেশে আমার খুব ভালো লাগছে। যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। আমার মামাতো ভায়েরাও আছে আমার সাথে।
তানভির আহমেদ বলে, জিল্লুর রহমান সেতুতে এসে আমার খুব ভালো লাগছে। এখানের প্রকৃতি খুব সুন্দর। সেতুর দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও খেলনা আর কসমেটিকের ভ্রম্যমান দোকান থাকায় পরিবেশটা আরো সুন্দর লাগছে।
শাফায়েত উল্লাহ খন্দকার বলেন, একাধিকবার আমি এসেছি এ সেতুতে। করোনার কারনে দুই বছর এখানে মানুষের উপস্থিতি ছিলোনা। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও ঈদকে ঘিরে সেতুটি নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
সেতুতে আরো অনান্য পর্যটকেরা তাদের সুন্দর ও প্রফুল্লু বাণী ব্যাক্ত করার পাশাপাশি জানালেন এ সেতু যেন পর্যটকদের জন্য নিয়মিত প্রাণ চাঞ্চল্য থাকে। নতুন পর্যটন এলাকা হিসেবে স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সাহায্য সহযোগীতা কামনা করছেন তারা।