হোম অন্যান্যশিক্ষা জাহাঙ্গীরনগরের সিসিটিভিতে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা

জাহাঙ্গীরনগরের সিসিটিভিতে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 70 ভিউজ

শিক্ষা ডেস্ক:

পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে। স্বামীকে আটকে মারধরের পর ধর্ষণ করা হয় স্ত্রীকে।

ধর্ষণের ঘটনা ক্যাম্পাসে চাউর হলে কৌশলে হলের রান্না ঘরের দরজা খুলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী, একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকও। তিনি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার বালিয়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

মোস্তাফিজকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে মীর মশাররফ হোসেন হলের সাগর সিদ্দিকী, হাসান ও সাব্বির। ধাতব বস্তু ব্যবহার করে গেটের তালা ভাঙে তারা। যা ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টা ১০ থেকে ১৭ মিনিটের মধ্যে ঘটে পুরো ঘটনা।

পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় পাওনা টাকা পরিশোধের কথা বলে ভুক্তভোগী ও তার স্ত্রীকে কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেকে আনে মামুন নামের বহিরাগত এক ব্যক্তি। যার সঙ্গে আগে থেকেই যোগসাজশ ছিলো ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের।

এক পর্যায়ে জাহিদকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে মারধর করে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে বাগানে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে মোস্তাফিজ ও মামুন। আর তাদের সহযোগিতা করে চারজন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাফিজসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার অন্য তিনজন হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বগুড়ার শেরপুর উপজেলার পারভবানিপুর গ্রামের সাব্বির হাসান সাগর, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী গ্রামের সাগর সিদ্দিক এবং রংপুরের কোতোয়ালি সদর থানার গন্দাদাশ গ্রামের হাসানুজ্জামান।

পলাতক রয়েছেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামের মুরাদ হোসেন এবং একই গ্রামের বাসিন্দা মো. মামুনুর রহমান মামুন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি।

তিনি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নামে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি দুজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এবং বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে রোববার দিনভর উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। ধর্ষণের সুষ্ঠু বিচার ও অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানান শিক্ষকরাও।

ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি অছাত্রদের দ্রুত হল থেকে বের করে দেয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন