হোম খুলনাবাগেরহাট জামদানি শাড়ির পর সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব পেল ভারত, ক্ষুব্দ এ খাত সংশ্লিষ্টরা

জামদানি শাড়ির পর সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব পেল ভারত, ক্ষুব্দ এ খাত সংশ্লিষ্টরা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 92 ভিউজ

জসিম উদ্দিন, বাগেরহাট:

জামদানী শাড়ির পর জিআই সনদ পাওয়ার মাধ্যমে এবার সুন্দরবনের মধুর স্বত্ব পেল ভারত। সুন্দরবনের আয়তন ও মধু উৎপাদন সবই বাংলাদেশ অংশে বেশি। তার পরও নিজেদের পণ্য হিসেবে মধুর আর্ন্তজাতিক জিআই সনদ পেল ভারত। জিআই সনদের বিষয়ে কিছুই জানেনা বাংলাদেশ বন বিভাগ। এনিয়ে চরম ক্ষুব্দ সুন্দরবন থেকে মধু আহরন ও বিপণনের সাথে জড়িতরা। তারা বলছেন,বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতার কারণে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ,আর ভারত একক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে মধুর জিআই সনদ।

সুন্দরবনের মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের বাগেরহাট,খুলনা ও সাতক্ষিরা অংশে রয়েছে ৬৫১৭ বর্গ কিলোমিটার অথাৎ মোট আয়তনের ৬৬ ভাগ। আর ৩৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার পড়েছে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দক্ষিন ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। যা মোট আয়তনের ৩৪ ভাগ। বাংলাদেশ অংশে প্রতি বছর মধু আহরন হয় প্রায় ৩০০ মেট্রিকটন। আর ভারতে গত ৭ বছরে গড়ে ১৫৭ মেট্রিকটন। সব বিভেচনায় বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ভারতের পশ্চিম বঙ্গের বন উন্নোয়ন কর্পোরেশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিআই পণ্য হিসেবে মধুর আন্তর্জাতিক সনদ পেয়েছে ভারত।

বনের আয়তন ও মধু আহরনে পিছিয়ে থাকলেও ভারত জিআই সনদ পাওয়ায় ক্ষুব্দ মধু আহরণ ও বিপণনের সাথে জড়িতরা। মোংলা জয়মনি এলঅকার বাসিন্ধা মোঃ ফেরদাউস ,আবুল কালাম, সৈয়দ মুসল্লি জানান, আমরা জীবনের ঝুকি নিয়ে গহিন বনে গিয়ে মধূ আহরণ করি। যা থেকে বন বিভাগের রাজ্বস্ব দিয়ে আমরা কিছু টাকা উপার্জন করি। তবে মধুর ন্যায্য মুল্য আমরা পাইনা। জিআই সনদ বাংলাদেশের পাওয়া গেলে আর্ন্তজাতিক বাজারে বাংলাদেশের পণ্য হিসেবে রপ্তানি হলে আমরা আরো বেশি মুল্য পেতাম।

মোংলা উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ শাজাহান ছিদ্দিকি বলছেন, বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বহীনতার কারণে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ,আর ভারত একক ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে মধুর জিআই সনদ। তাই যারা দায়িত্ব আবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহন করা হোন।

সুন্দরবন খুলনা বিভাগের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, জিআই সনদ সম্পর্কে তাদের কিছু জানানাই। বাংলাদেশ আবেদন করেছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর হয়তো বলতে পারবে।

জিআই সনদ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো,আর্ন্তজাতিক মহলে পণ্যের ব্র্যান্ডিং, যা থাকলে ক্রেতারা সহজে বিশ্বাস করে এটি আসল পণ্য। তাই বাংলাদেশ সুন্দরবনের মধুর জিআই সনদ পাওয়ার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবে, এমনটা দাবি এখাত সংশ্লিষ্টদের।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন