জবি প্রতিনিধি:
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সংহতি সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় ফিলিস্তিনি জনতার প্রতি সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘বদরের হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘বিশ্বের মুসলিম, এক হও এক হও’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ইসরায়েলের ইহুদিরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ইসরায়েলের কাপুরুষেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, অবিলম্বে বাংলাদেশকে পুনরায় পাসপোর্ট সংশোধন করে ইসরাইলে গমন নিষিদ্ধ করতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাস করে ইজরাইলকে দখলদার রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
সংহতি সমাবেশে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, পশ্চিমারা সারা বিশ্বে ইসলামোফোবিয়া ছড়াচ্ছে। কাশ্মীর -ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন স্থানে মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। মুসলমানরা অন্যায় করে না এবং অন্যায়কে সহ্যও করে না। পৃথিবীর কোন জায়গায় মুসলমানদের ওপর আঘাত হলে সমস্ত মুসলমান গর্জে উঠবে। আর কেউ মুসলমানদের গায়ে আঘাত করলে তার হাত ভেঙ্গে দেওয়া হবে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নোমান বিল্লাহ বলেন, ইজরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাস ও দখলদারির পথ ছেড়ে দিয়ে দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের পথে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশকে পুনরায় পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে। ইসরাইলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই করতে হবে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের যারা সন্ত্রাসী বলে তাতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রম থেকে পাশ্চাত্যবাদকে বাদ দিতে হবে।