খুলনা অফিস :
চুকনগরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত রিতা বিশ্বাস (৩৮) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। তিনি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে এখনও সে সংজ্ঞাহীন রয়েছেন। সে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া জেলে পল্লীর গৌতম বিশ্বাসের স্ত্রী।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানাগেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী মৃনাল বাহিনীর সদস্য মৃত দুলাল বিশ্বাসের ছেলে জগদিশ বিশ্বাস (৪৮) এর নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তার পুত্র সমারেশ বিশ্বাস (২৪) ও অর্জুন বিশ্বাস (২১) গত বৃহস্পতিবার সকালে তাদের হাতে থাকা সুন্দরী গরান ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আর্তকিত হামলা চালিয়ে রিতা বিশ্বাসকে টেনে হেচড়ে শ্লীলতাহানি সহ এলোপাতাড়ি ভাবে বেদম মারপিট করে। এসময়ে হামলাকারীদের আঘাতে রিতার মাথা ও মুখ মন্ডল ভেঙে চুরে ক্ষত-বিক্ষত হয় এবং ঘটনাস্থলে ৩ টি দাঁত পড়ে গিয়ে রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম হয়। এসময় আহত হন রিতার পুত্র তাপস বিশ্বাস (২০)।
স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতির হলে রেফার্ড করেন কতৃপক্ষ। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতে তাকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আহত রিতার মাথা ও মুখমন্ডল অপারেশন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। অপারেশন শেষে বর্তমানে তিনি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রযেছেন। তবে এখন ও শংঙ্কা মুক্ত নয় বলে দাবী ভুক্তভোগী পরিবারের। এলাকাবাসী জানায়, জগদিশ বিশ্বাস নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাস মৃণাল বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক সন্ত্রাসী মামলাও রয়েছে।
সে বর্তমানে সন্ত্রাসী বাহিনী গঠনে গোপন মিটিং-সিটিং এর তৎপর চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী চরম ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। তারা হামলাকারি সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।