হোম অন্যান্যসারাদেশ ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরায় সকাল থেকে প্রচন্ড তাপদহের পর দুপুর থেকে শুরু হয়েছে থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে সাতক্ষীরায় মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রচন্ড তাপদহের পর দুপুর থেকে শুরু হয়েছে থেমে থেমে মাঝারী ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। সেই সাথে মাঝে মধ্যে হালকা হাওয়া বইছে। উপকুলীয় এলাকার নদনদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুটি ডিভিশনের মধ্যে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার ৪৪ টি পয়েন্টে সাড়ে ৮ কি.মি বেঁড়িবাধ চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুকিপূর্ণ বেঁড়িবাধ সংস্কারে কাজ চলছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে, ঘূর্নিঝড় ইয়াশ ও আম্ফানের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো ঘূর্নিঝড় অশনি নিয়ে উপকুলীয় এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের মধ্যে অজানা আতংক বিরাজ করছে।

জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্দ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড় অশনি মোকাবেলায় ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জেলায় মোট ৭৩০ টি স্কুল কলেজসহ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর মধ্যে উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরে ১৮১ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ১ লাখ ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করতে পারবেন। এছাড়া উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনিতে ১০৬ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহন করতে পারবেন।

এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান শুকনা খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ পর্যাপ্ত সুপেয় পানি। উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিতে ২ হাজার ৯৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তুত রয়েছে ৮৬ টি মেডিকেল টিম। সুমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ইঞ্জিন চালিত নৌকা, ফিসিং বোর্ড এবং সকল ধরেরন মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের নিরাপদে উপকূলে থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় “অশনি’ মোকাবেলায় উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরায় যাতে কোন ধরনের জান মালের ক্ষতি না সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার আবহায়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনি সুন্দরবন থেকে ১ হাজার কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে অবস্থান করছে। সেটি ক্রমান্বয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দূর্বল হয়ে যেতে পারে। তবে ঘুর্ণিঝড় অশনি’র প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ বাংলাদেশের অগ্রভাবে প্রবেশ করছে। এতে করে যে কোন সময় ভারি ও মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। উপকুলীয় এলাকায় বর্তমানে ২ নং সতর্ক সংকেত অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন