হোম অন্যান্যসারাদেশ ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পেটালো যুবদল নেতা

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পেটালো যুবদল নেতা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 16 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাকের খান নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে স্বজনরা উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত বৃদ্ধ হক মিয়া (৬০) একই ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের মৃত ডেন্ডু মিয়ার ছেলে। অভিযুক্ত সাকের খান ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বাসিন্দা। প্রায় এক যুগ আগে মদন উপজেলা তিয়শ্রী গ্রামে বিয়ে করে ঘর জামাই থেকে যান। পরে মদন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক হন। এর আগেও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ ছিল।

স্থানীয় লোকজন ও ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, হক মিয়া একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী। স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে তার সংসার। নিজের ৩ শতাংশ বসত ভিটে ছাড়া কোনো জমিও নেই। সরকারি একটি ঘর পেতে সাংবাদিক পরিচয়ধারী যুবদল নেতা সাকের খানকে ৪ বছর আগে ১৪ হাজার টাকা ঘুষ দেন। ৪ বছর ধরে ঘর দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বৃদ্ধকে মাসের পর মাস ঘুরিয়েছেন। ঘর না দিতে পেরে সম্প্রতি ঘুষের ৩ হাজার টাকা ফেরতও দিয়েছে। বাকী টাকা দেই-দিচ্ছি বলে সময় কাটাচ্ছে করছে।

শনিবার বিকেলে বৃদ্ধ হক মিয়া টাকা চাইতে তিয়শ্রী গ্রামে সাকের খানের শ্বশুর বাড়িতে যায়। টাকা চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাকের খান ওই বৃদ্ধকে লাঠিপেটা করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সাকের খান ঘর জামাই থাকে। সে নানা অপকর্মের সঙ্গে তিনি জড়িত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি, তদবির বাণিজ্য সব ধরনের অপরাধ করে গেছেন। এর আগে ২০১৯ সালে মামলা তদবির করার জন্য নায়েকপুর গ্রামের হাসিম উদ্দিন নামের বৃদ্ধের কাছ থেকে ঘুষ নেন। কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ করায় পাওনা টাকা ফেরত চাইলে পিতা-পুত্রকে পিটিয়ে আহত করেছিল। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ হলেও বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। বিভিন্ন অফিসেও নানা অপকর্ম করায় তার বিরুদ্ধে একাধিক থাকলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বার বার অপকর্ম করলেও কোনো শাস্তি না হওয়ায় এখন তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

ভুক্তভোগী হক মিয়া জানান, আমি গরীব মানুষ। ঘর দিবে বলে সাকের খান ১৪ হাজার টাকা ঘুষ নেন। ৪ বছর ঘুরে ৩ হাজার টাকা ফেরত নিয়েছি। বাকী টাকা ফেরত চাওয়ায় আমাকে মারপিট করেছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মদন উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম রাসেল রুবেল জানান, ঘটনাটি শুনেছি। আহত হক মিয়ার স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। টাকার লেনদেন পরিশোধ করে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বলেছি।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন