খুলনা অফিস :
খুলনায় সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ও নার্সি সুপারভাইজার স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শিলা দাসের পরিবার অবরোধ মুক্ত হয়েছে। শুক্রবার খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নেতৃবৃন্দ র্নাস শিলা রানীর বাড়ীতে গিয়ে স্থানীয় সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের সাথে নিয়ে তার বাড়ীর লকডাউন উন্মুক্ত করা হয়। এতে তিনদিনের অমানবিক পরিস্থিতির অবসান হয়। পরে সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নেতৃবৃন্দ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য দিয়ে সহযোগীতা করেন।
জানা গেছে, গত তিন দিন ধরে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শিলা দাসের বাড়িতে করোনার অজুহাত দেখিয়ে অবরুদ্ধ বা লকডাউন করে দেয় এলাকার কতিপয় অতি উৎসাহীরা। স্থানীয় কাউন্সিলর মো: হাফিজুর রহমান মনির নাম ভাঙ্গিয়ে ওয়াহিদ ও তৌফিকসহ কয়েকজন এই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এমনকি ওই বাসায় খাবার দেওয়াও বন্ধ করে দেয়। এতে বাসায় থাকা শিলা রানীর মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে না খেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন করেন।
এ ঘটনার পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শিলা দাস তার ফেসবুক ওয়ালে আবেগঘন ষ্ট্যাটাস দেন।এ ঘটনা জানাজানি হলে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
র্নাস শিলা দাস জানান, তিনি রূপসার আভা সেন্টারে থেকে গত একমাস যাবৎ হাসপাতালে ডিউটি করছেন। পরে তিনি ২৮এপ্রিল করোনা পজিটিভ হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কিন্তু কতিপয় লোক তার বাড়ী করোনার অজুহাত দেখিয়ে অবরুদ্ধ বা লকডাউন করে দেয়। জেলা প্রশাসন থেকে আমার বাড়ি বা কাজের লোকের বাড়ি লকডাউন করা হয়নি। ১৮ নংওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন এই লকডাউন করেছে।
করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখ সারির কর্মী র্নাস শিলা দাসের পরিবারের অবরুদ্ধ অবস্থার সংবাদ পেয়ে ১লা মে শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, ইউনিয়নের যুগ্ম-সম্পাদক নেয়ামুল হোসেন কচি, সদস্য ও স্বজন সাংবাদিক ফোরামের সদস্য সচিব সুনীল দাস ও এস এম কামাল হোসেনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ সময়ে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হকও ঘটনাস্থলে আসেন।
পরে পুলিশের সহযোগিতায় শিলা দাস ও তার কাজের লোকের বাড়ী থেকে লকডাউন প্রত্যাহার করা হয়। এ সময় সোনাডাঙ্গা থানার পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে শিলার পরিবারের সদস্যদের কাছে সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ হতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এছাড়া যুবলীগ মহানগর শাখার যুগ্মআহবায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনের পক্ষ থেকেও শিলার পরিবারের সদস্যদেরকে খাদ সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।