হোম এক্সক্লুসিভ ক্রিকেট বিশ্বকাপে আয়ের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ভারত

ক্রিকেট বিশ্বকাপে আয়ের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ভারত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 159 ভিউজ

স্পোর্টস ডেস্ক:

চলতি বছর অক্টোবরে ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে ভারত, যা ছাড়িয়ে যাবে বিগত সব বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আয়কে।

সম্প্রতি বার্তাসংস্থা ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের বিশ্বকাপে খেলার চমকের বাইরে আরেকটি বড় চমক হচ্ছে ভারতের পর্যটন বাণিজ্য। দেশ এবং দেশের বাইরের অনেক মানুষ ভারতের নানা প্রদেশে খেলাকে কেন্দ্র করে যাতায়াত করবেন। শুধু যাতায়াত নয়, বাড়বে হোটেল বুকিং, হবে খাওয়া-দাওয়া এবং উৎসবে মাতবে পুরো দেশ। আর এতে ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে আয়ের সব রেকর্ড ভাঙার পথে পা বাড়িয়েছে ভারত।

দেশি পর্যটক এবং দেশের বাইরে থেকে যারা ভারত আসছেন খেলা দেখতে, তারা শুধু খেলা দেখেই ক্ষান্ত হবেন না, ঘুরবেন পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে। আর পর্যটকদের আগাম হোটেল বুকিং, খাবার দোকানের প্রস্তুতি এবং সামগ্রিক বেচাকেনার সাজসজ্জা বলছে, বড় কিছুর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত।

বিশ্বকাপ শুরুর আগেই দেশের বাইরে তো বটেই দেশের ভিতরেও বেড়ে গেছে বিমান এবং হোটেল ভাড়া। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে সামনে রেখে বিমান ভাড়া হয়েছে আকাশচুম্বী। শুধু দেশের ভেতরেই আশপাশের অঞ্চলগুলো থেকে বিমানে আহমেদাবাদে যেতে ৪০০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হবে যাত্রীদের। আগে যেখানে চণ্ডীগড় থেকে আহমেদাবাদ যেতে ভাড়া লাগত ১০-১২ হাজার রুপি, সেখানে ভাড়া বেড়ে হয়েছে ৪৫ হাজার রুপি।

এতো গেল বিমানের খবর; এই এক ম্যাচকে কেন্দ্র করে হোটেল বুকিংয়ের লম্বা লাইন লেগেছিল আহমেদাবাদে। ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছিল, অনেকে হোটেলে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের বেডও নাকি বুকিং দিয়ে রেখেছে।

শুধু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ কেন, ১৯ অক্টোবর ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে কেন্দ্র করে পুনেতে হোটেল ভাড়া বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগে পুনের পাঁচ তারকা হোটেলের দিনপ্রতি ভাড়া ছিল ১০-১২ হাজার রুপি, যা শুধু ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে কেন্দ্র করে বেড়ে হয়েছে ২০-২৫ হাজার রুপি।

সংবাদমাধ্যম বিকিউ প্রাইমের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, বিশ্বকাপ ঘিরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অর্থ লেনদেনের পরিমাণ হবে কমপক্ষে দেড় বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রভাব ছিল প্রায় সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে অর্থাৎ ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিগত বিশ্বকাপে এ প্রভাব বেড়ে দাঁড়িয়েছিল সাড়ে ৪০০ মিলিয়ন ডলারে। সে হিসাবে এবারের বিশ্বকাপ ভেঙে দিতে যাচ্ছে বিগত সব অর্থনীতির হিসাব-নিকাশ।

পরিসংখ্যানে বলা হয়, ভারতের দশটি স্টেডিয়ামে ৪৮টি খেলা হবে, যেখানে দর্শক সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৫ লাখ অর্থাৎ ২০ শতাংশ দর্শক আসছে দেশের বাইরে থেকে। দেশের বাইরে থেকে যারা খেলা দেখতে আসছেন তাদের ৩০ শতাংশ খরচ হবে শুধু বিমান ভাড়ায়। এর বাইরে ৭০ শতাংশ ভ্রমণ, খেলা দেখা, হোটেলে থাকা এবং আনুষঙ্গিক ব্যয়ে খরচ হবে।

এবারের প্রথম কোনো খেলা সংক্রান্ত আয়োজনকে কেন্দ্র করে এর অর্থনৈতিক প্রভাব ছাড়াবে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি রুপি। ভারতের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু খেলা নয়, এই আয়োজন ভারতের সামগ্রিক অর্থনীতির পালে অনুকূল হাওয়া দিতে যাচ্ছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন