বাণিজ্য ডেস্ক:
ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণ, প্রযুক্তি স্থানান্তর, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, রফতানি আয় বাড়ানো, কর্মসংস্থান তৈরি এবং ফাইভজি প্রযুক্তিকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও সুইডেন একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে পলকের সঙ্গে তার দফতরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে। সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
সাক্ষাৎকালে তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপযুক্তি খাতের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ ও সুইডেনের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য খাতের পাশাপাশি গত ৩০ বছর যাবত সুইডেনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এরিকসন দেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব গত ১৫ বছরে দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বদলে গেছে বাংলাদেশ। এছাড়া বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি দেশ।
ফলে সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে সুইডেনকে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অধিকতর বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও সুইডেন একসঙ্গে কাজ করবে। উভয় দেশ ও দেশের কল্যাণে এই বন্ধুত্ব আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বিগত বছরগুলোর অংশীদারিত্বের পথ ধরে আগামী ১৭ বছর বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি আইসিটি পণ্য ও সেবা রফতানি, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সুইডেন দেশের ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা উন্নয়ন কেন্দ্রস্থাপনে সহযোগিতা করবে। ফাইভজি প্রযুক্তি নিয়ে নলেজ শেয়ারিং, স্টার্টআপ খাতে পারস্পরিক সহযোগিতায় শিগগরিই বাংলাদেশ-সুইডেন আইটি পোর্টাল চালু করা হবে।
আগামী জুলাই মাসে অনুষ্ঠিতব্য স্টার্টআপ সামিটে এরিকসন, স্পটিফাই, ব্লুটুথ, ভলভো’র মতো প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসময় সুইডেনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, আইটি ও টেলিকমে উদ্ভাবন ও টেকসইয়ের ক্ষেত্রে সুইডেনের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে রয়েছে। এদের মধ্যে এরিকসন নিয়মিত সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নেও সঙ্গী থাকবে। আমি মনে করি, পারস্পরিক সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিতে আজকের বৈঠক খুবই গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ ছিল।
বৈঠকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাত, স্টার্টআপ বাংলাদেশ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ ও হাইটেকপার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরউল্লাহ্সহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।