ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি:
কেশবপুরে গোয়ালঘরে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধে দুইটি গরু ও তিনটি ছাগল নিহত এবং চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। কেশবপুরের মঙ্গলকোট ইউনিয়নের কন্দর্পপুর গ্রামের দুই কৃষকের গরু ছাগল পুড়ে চার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) সারেজমিনে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কন্দর্পপুর গ্রামের আব্দুল মালেক মোড়লের দুই ছেলে শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর ইসলামের গোয়াল ঘরে প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে মশার হাত থেকে রেহাই পেতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রেখেছিলেন। ঘরে বৈদ্যুতিক ফ্যানও চালু ছিল। গোয়াল ঘরের আড়ার উপর পাটকাঠিও ছিল। তারা জানান, ওই মশার কয়েলের আগুন ফ্যানের বাতাসে পাটকাঠিতে লেগে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ভোর তিনটার দিকে টের পেয়ে দেখেন আগুন দাও দাও করে জ্বলছে। নিভানোর চেষ্টা করেও গরু-ছাগল বাঁচাতে ব্যর্থ হন। এমন সময় শহিদুল ইসলাম (৪৫) পাগল হয়ে গরু-ছাগলের দড়ি খুলতে গেলে তিনিও দগ্ধ হন। কেশবপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়ি আসেন এবং অবস্থার অবনতি দেখে খুলনা হাসপতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। শহিদুল ইসলামের তিনটি ছাগল আগুনে পুড়ে মারা যায় এবং একটি বাছুর ঝলসে যায়। তার ছাগল তিনটির আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার টাকা বলে জানান।
মিজানুর ইসলামের (৫৫) দু’টি ফ্রিজিয়ান গাভী গরু অগ্নিদগ্ধে মারা যায় এবং একটি বাছুর ঝলসে যায়। তিনি জানান, গাভী দুইটির মূল্য তিন লক্ষাধিক টাকা। প্রতিদিন দুইটির প্রত্যেকটি ৮ কেজি করে দুধ দিতো। ঘরতো পুড়ে গেছে। সব মিলিয়ে শহিদুল ইসলাম ও মিজানুর ইসলামের চার লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে পিতা আব্দুল মালেক মোড়ল ও তার দুই ছেলে জানান। মৃত গরু দুইটি ও ছাগল তিনটি বাড়ির পাশে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়েছেন। ঝলসে যাওয়া বাছুর দুইটির অবস্থা ভাল নয়। তাদের এই দূর্দিনে সহযোগিতার প্রয়োজন বলে জানান। এসময় ৫ নং মঙ্গলকোট ইউপি সদস্য মোতাহিরুল ইসলাম ও মাগুরখালী বাজার কমিটির সভাপতি মাস্টার মোস্তফা কামাল লিটন উপস্থিত ছিলেন।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।