হোম খুলনাঝিনাইদহ কালীগঞ্জে নির্বাচন অফিসে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ বাণিজ্য

ঝিনাইদহ অফিস:

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন অফিসে প্রকাশ্যে চলছে ঘুষ বাণিজ্য। জাতীয় পরিচয় পত্রের স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তি ও সংশোধনসহ টুকিটাকি নানা কাজে প্রকাশ্যে নেওয়া হচ্ছে ঘুষের টাকা। আর এসব টাকা আদায় করছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ খোকন। নির্বাচন অফিসের ঘুষখোর এই কর্মচারী অফিস ভবনের দোতলার বারান্দায় চেয়ার টেবিল পেতে সিগারেটের প্যাকেট ও গ্যাস লাইট নিয়ে বসে থাকেন সুযোগের অপেক্ষায়। অফিসটিতে নানা কাজে আসা সাধারণ মানুষকে তিনি তাদের কাজ করে দেবেন মর্মে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকেন। দীর্ঘদিন তিনি প্রকাশ্যে এভাবে মানুষের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহন করলেও ব্যাপারটি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ কখনো আমলে নেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী ১৮ অক্টোবর নির্বাচন অফিসে নিজের পরিচয়পত্রের স্মার্ট কার্ডটি নিতে আসলে নির্বাচন অফিসের দোতালায় উঠে প্রথম পরিচয় হয় অফিস সহায়ক খোকনের সাথে। তাকে স্মার্ট কার্ডের কথা বলতেই স্লিপ আছে কিনা জানতে চান তিনি। স্লিপ না থাকার কথা শুনে স্মার্ট কার্ড প্রপ্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা লাগবে বলে সাথে সাথে ভুক্তভোগীর নিকট ৫ শত টাকা চান খোকন । এরপর ভুক্তভোগী ৫ শত টাকার একটি নোট রশিদ ছাড়াই তাকে প্রদান করেন। পরক্ষণে, তিনি অনলাইনে আবেদন ব্যতীত ভবনের নিচতলার গোডাউনে(যেখানে এনআইডি কার্ড ও স্মার্ট কার্ডসহ গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র সংরক্ষিত থাকে) প্রবেশ করেন মুখে জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে । এরপর তিনি ধূমপানরত অবস্থায় স্মার্ট কার্ডটি খুঁজে বের করে তার হাতে ধরিয়ে দেন ।

এ সময় তিনি ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আইডি কার্ড সংক্রান্ত যেকোনো ব্যাপারে যেকোনো সময় তার সাথে যোগাযোগ করলে কাজ হয়ে যাবে। সরকারি অফিসে প্রকাশ্যে ধূমপান এবং ঘুষ গ্রহণের ব্যাপারে সেবা প্রত্যাশীদের মনে নির্বাচন অফিসের সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

অফিসে গোডাউনের মধ্যে প্রকাশ্যে ধূমপান ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ খোকনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিড়ি খাই এটা সত্যি কথা। এখন আপনারা ভাই ভাগার মানুষ যদি এমন করেন তাহলে কিভাবে হবে বলেন। আর অনলাইনে আবেদন করা লাগেনা এটা আমার জামা নেই। যে কারণে টাকা নেই আবেদনের জন্য।

কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রশিদুল আলম বলেন,এনআইডি তথা স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির জন্য কোন টাকা লাগেনা। পূর্বে অনলাইনে আবেদনের জন্য ফি লাগলো বর্তমানে সেটিও লাগেনা। তবে অফিস সহায়ক যদি স্মার্ট কার্ড দেওয়ার কথা বলে টাকা নেই এবং প্রকাশ্যে ধূমপান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এ ধরনের কাজগুলো অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আমি প্রথমে তাকে সতর্ক এবং প্রমাণ পেলে তার বিরদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন