হোম অন্যান্যসারাদেশ ইবিতে জুনিয়রদের পেটালো সিনিয়ররা, বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ

ইবিতে জুনিয়রদের পেটালো সিনিয়ররা, বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 75 ভিউজ

ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের জুনিয়রদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের কয়েকজন সিনিয়রদের বিরুদ্ধে।

রোববার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে ভুক্তভোগী ও তার সহপাঠীরা বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগপত্র সূত্রে, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা শেষে সমাজকল্যাণ বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা ঝাল চত্ত্বরে যায়। এসময় পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী কাঠের বাটাম, ইট ও লাঠিসোটা দিয়ে তাদের উপর উপর আক্রমণ করে একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মাজহারুল ইসলাম নাঈম ও মারুফ, ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাসুদ, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের নিসান, বাংলা বিভাগের তৌহিদ তালুকদার এবং ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ওলিউর রহমান ওলি। এসময় অভিযুক্তদের সাথে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জন ছিলেন।

এতে মাহমুদুল হাসান উৎস, রিয়াজ উদ্দিন ও বাদশা গুরুতর আহত হন। তবে এর মধ্যে উৎসের চোখে গুরুতর আঘাতসহ তার কপাল ও পিঠ জখম হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।

জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসের মফিজ লেকে চড়ুইভাতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা করে সমাজকল্যাণ বিভাগ। ওই সময় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান উৎস ভুলক্রমে খাবার পরিবেশনের জন্য আনা একটি ওয়ানটাইম প্লেট ভেঙে ফেলেন। পরে এটা নিয়ে অভিযুক্ত নাঈম ও মারুফসহ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অন্যান্যরা ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাহমুদুল হাসান উৎসসহ সবাইকে গালমন্দ ও অপমান করতে থাকেন। তখন উৎস ও তার সহপাঠীরা এর প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির সময় উভয়পক্ষ একে অন্যদের দিকে প্লাস্টিকের চেয়ার ছুড়ে মারেন। এসময় চেয়ারের আঘাতে অভিযুক্ত নাঈম গুরুতর আহত হন এবং ভুক্তভোগীদের কয়েকজন সহপাঠীর হাত কেটে যায়।

ভুক্তভোগী মাহমুদ হাসান উৎস বলেন, সামান্য পাঁচ টাকার একটা প্লাস্টিকের প্লেট। ওইটা ভুলক্রমে ভেঙে যাওয়ার পর আমি অনেকবার সরি বলার পরও তারা আমাদের ব্যাচের সবাইকে আমাদের জুনিয়রদের সামনে অপমান করতে থাকে। এটা নিয়ে তখন আমাদের সাথে তাদের হালকা বাকবিতন্ডা হয়। এই সামান্য বিষয়টাকে তারা এত বড় ইস্যুতে পরিণত করেছে।

অভিযুক্ত মাসুদ রানা বলেন, আমি ওখানে মারামারি করতে যাইনি। ওখানে মারামারি হচ্ছে দেখে আমি তাদের থামাতে গিয়েছিলাম।

মাজহারুল ইসলাম নাঈম বলেন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আহত শিক্ষার্থীর চোখে আঘাতের ফলে ভেতরে কিছুটা রক্তক্ষরণ হয়েছে। সেটা খুব বেশি গুরুতর নয়। ব্যাথার ঔষধ, চোখের ড্রপসসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ঔষধ লিখে দিয়েছি। এগুলো অনুযায়ী চললে ভালো হয়ে যাবে। এক সপ্তাহ পর তাকে আবার দেখা করতে বলেছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ঘটনাটি নিয়ে বিভাগের সাথে যোগাযোগ হয়েছে তারা একটি দিন সময় চেয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল বিভাগ ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে। বিভাগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে আমরা দেখবো।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন