হোম অন্যান্যসারাদেশ আশাশুনি আনুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাকে মারপিট করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

আশাশুনি আনুলিয়ায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাকে মারপিট করে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 100 ভিউজ

আশাশুনি প্রতিনিধি:

আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে ব্যবসায়ী ও এক ক্রেতাকে মারপিট করে মালামাল তছনছ, টাকা ও মোবাইল সেট ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। লিখিত এজাহারে প্রকাশ, আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মৃত অনন্ত দাশের পুত্র বাদী ভরত চন্দ্র দাশ কাকবাসিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী।

তিনি ১৫ বছর যাবৎ জনৈক আনার আলী গাজীর ঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করে আসছেন। তার দোকানের দু’পাশে জিয়াদ মোল্যা কাঁচামাল ও মহিদুল মুদিমাল বিক্রয় করে থাকেন। কাকবাসিয়া গ্রামের এটিএম শামছুজ্জামান, হাসমত আলি (হিটলার), ফারুক গাজীসহ আরও ১০/১৫ জন উক্ত স্থানে দোকান না দিতে দীর্ঘদিন বাঁধা নিষেধ ও হুমকী দিয়ে আসছিলেন।

পাশের দোকানদারদের কিছু না বলে তিনি হিন্দু হওয়ায় তারা তাকে নির্যাতন করে আসছিল। গত ১২ জুলাই সকাল ৮ টার দিকে অভিযুক্তরা বেআইনী দলবদ্ধ হয়ে তার দোকানে অনাধিকার প্রবেশ করে একাধিকবার নিষেধ করা সত্বেও না মানায় জীবনে শেষ করে ফেলার হুমকী দিয়ে কিল, ঘুষি, লাথি মেরে জখম করে। দা দিয়ে গলায় কোপ মরাতে যায় এবং শ^াস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।

গায়ের জামাকাপড় ছিড়ে ও মালামাল নষ্ট করে ১২ হাজার টাকার ক্ষতি করে। মালামাল বিক্রয়ের ৭০০০ টাকা বস্তার ভাজ থেকে নিয়ে নেয়। বাজার করতে আসা আব্দুল্যাহ আল ইয়ামিন ঠেকাতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি মেরে তার কাছে থাকা রিএলমি-৫ মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য ২২০০০ টাকা। ওসি মোঃ গোলাম কবির ও এসআই ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন জানান, ডিসি মহোদয়, ইউএনও ও ওসি সাহেবের সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা বাজার স্কুলের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু ড. শিহাব উদ্দিন সিদ্ধান্তকে অমান্য করে ব্যক্তি স্বার্থে মৎস্য সেটের কাছে নিজের জমিতে ২/১ জনকে বসিয়ে কাচামাল বিক্রয় করাতে চাচ্ছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন ১৫/২০ টাকা করে আদায়ও করা হচ্ছে।

প্রশাসনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এলাকাকে করোনার ছোবলে ঠেলে দেওয়ার সাথে সাথে এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ভরত চন্দ্রকে নিয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি শুনেছি, তার সাথে মোবাইলে কথা বলেছি, আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে ঘটনার মিমাংসা করে দেব। অভিযুক্ত এটিএম ও হিটলার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় প্রশাসন কর্তৃক নির্দ্ধারিত স্থানে কাঁচা বাজারে ব্যবসায়ীদের বসতে অনুরোধ জানান হয়। ভরতকে মৌখিক ভাবেও অনুরোধ জানান হয়।

কিন্তু তিনি সেটের পাশে বেচাকেনা করায়, ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানায় এবং সেখানে গিয়ে তাকে স্কুলের পাশে আসতে অনুরোধ জানালে সে আসতে অস্বীকার করলে পরস্পরের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঠেলাঠেলি হয়। এসময় ঠেলাঠেলির মধ্যে ইয়ামিনের মোবাইল ছিটকে পড়ে গিয়েছিল। সেটি ভিড়ের মধ্যে কে নিয়েছে জানা যায়নি। অবশ্য পরে আমরা ভরত চন্দ্রকে ডেকে এনে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য মাফ চেয়ে নিয়েছি, তাকে একটি নতুন গেঞ্জি কিনে দিয়েছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন