আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনির দরগাহপুরে ঘেরাবেড়া কেটে ভিটাবাড়ীর জমি জবর দখল নেওয়ার চেষ্টায় বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের মারপিটে পিতা ও স্কুল পড়ুয়া কন্যা আহত হয়েছে । গতকাল বিকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামে।
এ ব্যাপারে থানায় এজাহার সুত্রে জানাগেছে খরিয়াটি গ্রামের মালেক মালঙ্গীর পুত্র ইমদাদুল মালঙ্গী (৩৮) গং এর সাথে একই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীন মালঙ্গীর পুত্র শহীদুল মালঙ্গী গং এর দীর্ঘদিন ভিটাবাড়ীর জমি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জের ধরে বিগত প্রায় ৬মাস আগে প্রতিপক্ষ শহীদুল মালঙ্গী গং উক্ত জমি জবর দখলেল পায়তারা করলে এ ব্যাপারে ইমদাদুল মালঙ্গী বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দয়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় কাগজ পত্র নিয়ে হাজির হওয়ার কথা বলে আসেন। উভয় পক্ষ থানায় হাজির হয়ে পুলিশকে বলে স্থানীয়ভাবে গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গকে নিয়ে মাপ জরীপ করে শান্তিপূর্ন ভাবে মিমাংসা করে নেওয়ার কথা বলেন। এরপর থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গ ও জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকে সমাধান করে মাপ জরীপের মাধ্যমে উভয় পক্ষের জমি বুঝে নেন।
কিন্তু দীর্ঘ দিন পর লশ অমান্য করে পর ৭ জুন জমিজমা দখলকারী এলাকার ত্রাস শহিদুলের নেতৃত্বে তার ভাই আদিল (৫০), বাবলু মালঙ্গী, মাহমুদ আলী(৬৫), শহীদুল মালঙ্গীর পুত্র, শাহীন মালঙ্গী (৩৩). সহ ৪/৫জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিরা সুসংঘটিত হয়ে দা, লোহার রড, লাঠিসোটা ও শাবল সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ইমদাদুলের ভিটাবাড়ীর অনধিকার প্রবেশ করে ঘেরাবেড়া কাটিয়া থাকে জবর দখল নেওয়ার চেষ্টা করলে ইমদাদুল মালঙ্গী ও তার স্কুল পড়ুয়া কন্যা ইভা খাতুন বাঁধা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে আহত করে। এ ছাড়া জমি দখলের চেষ্টাকারীরা স্কুল পড়ুয়া কন্যা ইভা খাতুন (১৪)’র জামা কাপড় ছিড়ে ছুটে শ্লীলতাহানী করাসহ তার গরায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পিতা ও কন্যার চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজোন ঘটনাস্থলের দিকে ছুটে আসতে থাকলে অবস্তার বেগতিক দেখে তারা মামলা মোকদ্দমা না করার হুমকী দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগকরে। আহতদের উদ্ধার করে আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে ইমদাদুল বাদী হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে এজাহার পেয়ে এসআই আব্বাস উদ্দীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানাগেছে।