আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজার আল শিফা হাসপাতালে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। রোববার (১৭ মার্চ ) রাতভর হাসপাতালটিতে অভিযান চালায় ইসরাইলের সেনারা। তাদের দাবি, হামলা চালানোর জন্য আল শিফা হাসপাতালটি ব্যবহার করছে হামাস। খবর বিবিসির।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, আল শিফা হাসপাতালের সীমিত এলাকায় তাদের সেনারা অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী আল শিফা হাসপাতালটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ব্যবহার করছে হামাস।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গাজার ওই ভবনকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সেখান থেকে ভারী গুলিবর্ষণের শব্দ শুনেছেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, হাসপাতালের চারপাশে ভারি গুলির শব্দ ভেসে আসছে।
হাসপাতালের ভেতর থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো আরেকটি ভয়েস বার্তায় মুহাম্মদ আল সায়িদ নামে একজন বলেন,
ভবনের ভেতরে সৈন্যদের কয়েকজন মৃত ও আহত অবস্থায় আছে। ইসরাইলি বাহিনী কয়েকজন যুবককে আটক করেছে। এখানকার পরিস্থিতি বিপর্যয়কর।
এদিকে, এই হামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কোন আগাম সংকেত দেয়নি আইডিএফ। অথচ যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত হওয়া কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি হাসপাতাল ভবনটিতে আশ্রয় নিয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ হামলাকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লংঘন বলে মন্তব্য করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছিল ইসরাইল। সে সময় হাসপাতালের নিচে হামাসের ব্যবহার করা অস্ত্রসহ একটি সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছিল বলে জানায় আইডিএফ।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের অতর্কিত হামলার পর গাজায় অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।