মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দু’টি আসনের নির্বাচন পর্যবেক্ষনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্যাডে পৃথক দু’টি নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সমস্বয় উপ-কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ায় স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং বিভেদের সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে সমন্বয় না করে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
মাগুরা জেলায় দুটি নির্বাচনী এলকার মধ্যে মাগুরা-১ আসনে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং মাগুরা-২ আসেন বর্তমান সাংসদ ডক্টর শ্রী বীরেন শিকদার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। এই নির্বাচন সঠিকভাবে পর্যক্ষেনের জন্য দলীয় পর্যবেক্ষক নির্ধারনে খুলনা বিভাগীয় পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা স্বাক্ষরিক একটি পরিপত্রে কয়েকদিন আগে ১৫ সদস্যের যে তালিকা প্রকাশ করেন তারা হলেন বেনজীর হোসেন নীশি, সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, পঙ্কজ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মাগুরা জেলা আওয়ামীলীগ, মো. ফারুক মোল্যা সদস্য শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, শওকতুজ্জামান সৈকত সাবেক সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, শেখ মো. রেজাউল ইসলাম প্রচার সম্পাদক মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, সোহবাব হেসেন সবুজ উপ-দপ্তর সম্পাদক মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, ঈদুল শেখ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, মোসাম্মদ বেবী নাজনীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, মুন্সী আবু হানিফ সাংগঠনিক সম্পাদক শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ, মো. বখতিয়ার যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শালিখা উপজেলা আওয়ামী লীগ, আলী হোসেন মুক্তা সাবেক সাধারন সম্পাদক মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ, কাজী তরিকুল ইসলাম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অ্যাডভোকেট হারুনর রশীদ সহ-সভাপতি শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ, মীর মেহেদী হাসান রুবেল সাবেক সভাপতি মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ, স্বর্ণালী জোয়াদ্দার রিয়া সভাপতি শ্রীপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ।
এর কয়েক দিনের মাথায় পারভীন জাহান কল্পনা স্বাক্ষরিত পরিপত্রে আরেকটি পর্যক্ষেক কমিটির অনুমোদন হয়। যে কমিটিতে পূর্বের কমিটির বেনজীর হোসেন নীশি, মো. রেজাউল ইসলাম, শওকতুজ্জামান সৈকত, রেজাউল ইসলাম, ঈদুল শেখ, আলী হোসেন মুক্তা, কাজী তরিকুল ইসলাম এবং স্বর্ণারী জোয়ার্দ্দার রিয়া কে বাদ দিয়ে নতুন করে ইসমোত হ্যাপি সদস্য মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, মীর শহিদুল ইসলাম বাবু সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগ, আলী আহম্মেদ আহাদ যুগ্ম-আহবায়ক মাগুরা জেলা যুবলীগ, রিয়াজুল হাসান সভাপতি মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মো. বাহারুল ইসলাম সাধারন সম্পাদক পৌর যুবলীগ, মো. কুতুবুল্লাহ কুটি, সাবেক সভাপতি শ্রীপুর উপজেলা যুবলীগ, মুস্তাকিম বিল্লাহ সংগ্রাম সাংগঠনিক সম্পাদক শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, রাশেদুজ্জামান রনি সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, মো. আলাউদ্দিন মাহমুদ সদস্য মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ, শাহারিয়ার খুরশিদ রুদ্র সাংগঠনিক সম্পাদক মাগুরা জেলা ছাত্রলীগ। এই দশ জনকে সংযুক্তি করে নতুন করে আরেকটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরার দু’টি নির্বাচনী এলাকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে কয়েকজন জৈষ্ঠ নেতা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন সমন্বয় এবং ভারসাম্য রক্ষা করতে কমিটির বিয়োজন এবং সংযোজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কমিটি থেকে বাদ পড়া নেতা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক বেনজীর হোসেন নীশি বলেন, কমিটি থেকে আমাকে বাদ দেওয়ার কারন আমি জানতে পারিনি। তবে সংযোজন বিয়োজন করে পরপর দু’টি কমিটি প্রকাশ হওয়ায় তিনি অসন্তোস প্রকাশ করেছেন। শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুস্তাকিম বিল্লাহ সংগ্রাম বলেন, কমিটিতে কিভাবে আমার নাম এসেছে আমার জানা নেই। এ বিয়য়ে মহম্মদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের না জানিয়ে এই কমিটি করা হয়েছে। সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এসকে নুরুজ্জামান বলেন, সংযোজন বিয়োজনের এই কমিটি মাগুরার দু’টি আসনের নির্বাচনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, এ বিষয়ে আমি অবহিত নই। খুলনা বিভাগীয় পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নির্দেশে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষনের লক্ষে কমিটিতে বিয়োজন এবং সংযোজন আনা হয়েছে।