অনলাইন ডেস্ক:
গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় আবারও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন টিএন্ডজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। টানা তিনদিন পর আজ দুপুর ২টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়েছিলেন তারা। তবে ঘণ্টাখানেক পর আবার রাস্তায় নেমে পড়েন শ্রমিকরা। এতে নতুন করে সড়কে বেড়েছে দুর্ভোগ।
শনিবার সকাল সাড়ে নটা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ সোমবার দুপুর ২টার দিকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। কিন্তু ঘণ্টাখানেকের মাথায় শ্রমিকরা আবার মহাসড়ক অবরোধ করেন।
শ্রমিকরা জানান, কবে কখন কীভাবে তাদের সমুদয় ভাতা পরিশোধ করা হবে তার সুস্পষ্ট ঘোষণা না পেয়ে তারা আবার অবরোধে নামেন। দুপুরে কিছুটা বিভ্রান্তির কারণে তারা সড়ক থেকে উঠে গিয়েছিলেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, দুপুরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্রমিকদের অডিওবার্তা দিয়ে তাদের পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের পাওনার ছয় কোটি টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার। বাদবাকি পাওনা দিয়ে পরিশোধের ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয়ে শ্রমিক ও মালিকপক্ষ পক্ষের বৈঠক হবে। গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়ার নেতৃত্বে কারখানা শ্রমিকদের পাঁচ সদস্যের টিম মন্ত্রণালয় বৈঠক করতে যাবেন। সেখানেই আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া মেটানোর বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হবে।
তিনি আরও জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, সেনাবাহিনীর সদস্য, বিজেপি সদস্য ও শিল্প পুলিশের উপস্থিতিতে এমন শুরু হওয়ার পর শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই অবরোধস্থলের দুদিকে দীর্ঘ যানজটে থাকা যানবাহন চলতে শুরু করে।
এদিকে নতুন করে সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা বাইপাস সড়কে যান চলাচলে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। সড়কে যাত্রীবাহী বাস, পণ্য বোঝাই ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়েছে। অফিস ও কর্মস্থল থেকে ফেরা লোকজন পড়েন চরম ভোগান্তিতে। আর তিনদিন ধরে যে সব পরিবহন চালকরা সড়কে আটকে আছেন তারা পড়েছেন দুঃসহ যন্ত্রণায়।
এর আগে শনিবার সকাল ৯টার পর শ্রমিকরা মহাসড়কে নেমে আসলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। একই অবস্থা ছিলো রোববার সকালেও। মহাসড়কের ভোগড়া এলাকায় শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে ওই মহাসড়কের বিকল্প পথে যানবাহন চলাচল করছে।
কারখানার শ্রমিকরা জানান, তাদের তিন মাসের বকেয়া বেতন, ওভারটাইম বিলসহ সব পাওনাদির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছিলেন। কিন্তু বেতন ভাতা পরিশোধ না হয় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হন। তারা বলছেন দাবিদাওয়া পূরণ অর্থাৎ বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।