অনলাইন ডেস্ক:
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ঈদ জামাতে ইমামকে নিয়ে আপত্তির জের ধরে উপজেলার লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। লামকাইন ঈদগাহ মাঠটি স্থানীয়ভাবে প্রসিদ্ধ ও শত বছরের পুরোনো ঈদগাহ মাঠ বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
রোববার (৩০ মার্চ ) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে লিখিত আদেশ দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ আল-মামুন স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে ওই স্থানে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই লামকাইন ঈদগাহ মাঠ এলাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সব ধরনের মিছিল, সমাবেশ, লাঠিসোটা অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রবাদি ব্যবহার, প্রর্দশন, শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, বেআইনি অনুপ্রবেশ নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়াচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলী নামের একজন ইমাম। ১৭ বছর ধরে ঈদগাহের নামাজ পড়ানো এই ইমাম আওয়ামী লীগপন্থী ওলামা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন অভিযোগ এনে এলাকার একটি পক্ষ অপসারণ দাবি করেন। পক্ষটি মোহাম্মদ আলীকে ঈদের জামাতে ইমামতি করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করে। অপর দিকে ওই ইমারের পক্ষের লোকজন তাকে বহাল রাখার দাবিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা করেও সমস্যার সমাধান করতে না পারায় উত্তেজনা শুরু হয়।
এ ব্যাপারে মাঠ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আশেক উল্লাহ জানান, এইবার একটি পক্ষ মুফতি মোহাম্মদ আলী হুজুরকে নিয়ে আপত্তি তুলেছে। তাদের অভিযোগ মুফতি মোহাম্মদ আলী হুজুর বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে তার বক্তব্যে মাওলানা আজহারী হুজুরের সমালোচনা করেন। এছাড়াও মুফতি মোহাম্মদ আলী হুজুরের কিছু বয়ান নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মী অসন্তুষ্ট। এ জন্য হয়তো তারা আপত্তি জানিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় দুইটি পক্ষ তৈরী হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আইন-শৃঙ্খলারক্ষার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ঈদগাহ মাঠের সম্মানিত মুসল্লিদের পাশ্ববর্তী ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।