হোম অন্যান্যসারাদেশ স্ট্যান্ডরিলিজ নড়াইল পৌরসভার হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান

নড়াইল অফিস:

নড়াইল পৌরসভার হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান এর বদলি এবং পরবর্তীতে বদলী স্থগিত নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় নড়াইল শহর জুডে। এরই মধ্যে ১১ মার্চ মন্ত্রনালয় থেকে ২য় দফা বদলীর আদেশ কার্যকর না হলে ১৬ মার্চ থেকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে ঐ কর্মকর্তাকে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,গত ১ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত একটি পত্রে মো. সাইফুজ্জামান কে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভায় বদলীর আদেশ প্রদান করা হয়েছে।
এরই মধ্যে গুঞ্জন ওঠে নানা জায়গা ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ঐ হিসাবরক্ষক বদলী স্থগিত করেছেন।হিসাবরক্ষক কয়েকদফা স্বীকার ও করেছেন তা। বদলীর ব্যাপারে নড়াইল পৌরসভার হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান বলেন,বদলী একটা হইছিলো কিন্ত সেটা স্থগিত হয়েছে আশা করা যায়। কোন প্রক্রিয়ার বাতিল হলো এই প্রশ্নের জবাবে সাইফুজ্জামান বলেন,এটা পরে বলি,আপাতত মেয়র চাচ্ছেন না তাই বদলী ঠেকে যাচ্ছে। ১২ মার্চ হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি স্ট্যান্ড রিলিজের কথা স্বীকার করেন।
১ মার্চ বদলীর আদেশ আসার পরও এই হিসাবরক্ষক ১১ মার্চ পর্যন্ত পৌরসভার নিয়মিত সকল কাজই করে গেছেন। ৪ মার্চ পৌরসভা নিয়মিত পরিদর্শনে যান নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালন মো.ইয়ারুল ইসলাম। তার সাথে কথা বললেও তিনিও এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে জানান। বলেন,আমার কাছে এ বিষয়ে কোন তথ্য নেই।
এদিকে ১১ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত ২য় দফা প্রেরিত পত্রে ১৫ মার্চের মো. সাইফুজ্জামান কে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌরসভায় বদলীর আদেশ প্রদান করা হয়েছে,অন্যথায় ১৬ র্ম্চা থেকে তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ ঘোষনা করা হয়েছে।
হিসাবরক্ষক সাইফুজ্জামান ১৯৯৭ সালে হিসাব সহকারী হিসেবে যোগদান করেন। ২০০৩ সালে সহকারী হিসাবরক্ষক এবং ২০০৮ সালে হিসাবরক্ষক হিসেবে প্রায় ২৫ বছর ধরে নড়াইল পৌরসভায় চাকুরী করছেন। প্রভাবশালী এই হিসাবরক্ষকের অর্থে নড়াইল পৌরসভার চলমান অন্ততঃ ১১ টি ঠিকাদারী কাজ পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া নড়াইল সদরে তার অন্ততঃ ১’শ একর জমি সহ ৩টি বাড়ি রয়েছে। তার শ^শুরবাড়ি ঝিনাইদহে শ^াশুড়ি এবং স্ত্রীর নামে বাড়ি এবং জমি রয়েছে। এখানেই শেষ নয়,নিজের ভাগ্নে শালা সহ অন্ততঃ ৫জন কে পৌরসভায় চাকুরি দিয়েছেন নিজ ক্ষমতাবলে।
দূর্নীতি বিষয়ে কথা বললে সাইফুজ্জামান সবকিছু এড়িয়ে যান,তবে ঠিকাদারী কাজ বিষয়ে বলেন,এগুলো সবই টেন্ডারের মাধ্যমে হয়েছে,আর নিয়মিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমেই তার আতœীয় স্বজনেরা পৌরসভায় চাকুরী করছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন