হোম অন্যান্যসারাদেশ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ছোট বাবুর ওজন ২০ মন দাম হাকালেন ১০ লাখ টাকা

শিপলু জামান, ঝিনাইদহ :

ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলার গৌরিনাথপুর গ্রামের কৃষক আবদুল হান্নান প্রতি পালন করেছেন বৃহৎ আকৃতির একটি গরু। বিদেশী জাতের গরুটির নাম রেখেছেন ছোট বাবু। তবে নামের সঙ্গে গরুর আকৃতির রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। গরুটির ওজন আনুমানিক ২০ মণ।

কৃষক হান্নান এবার কুরবাণীর ঈদের হাটে তাঁর এই ছোট বাবু বিক্রয় করতে চান। ছোট বাবুর দাম তিনি জানিয়েছেন ১০ লক্ষ টাকা। করোনাকালীন সময়ে গরুর খাবার সহ গরু প্রতি পালনের জিনিস পত্রের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গরুটি পালতে অনেক বেশী খরচ হয়ে গেছে। গরুটি কালীগঞ্জ কোরবানী হাটে তোলা হয়েছে দাম হাকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা ।

তারপরও করোনাকালীন সময়ে সার্বিক দিক বিবেচনা করে তিনি ১০ লক্ষ টাকা মূল্য নির্ধারণ করেছেন। হান্নানের বৃহৎ আকৃতির গরুর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে কালীগঞ্জ উপজেলায়। যার কারণে অনেকে উৎসুক হয়ে আসছেন কৃষক হান্নানের বৃহত গরুদেখতে। প্রতিদিন ছোট বাবুর জন্য প্রায় ৩ থেকে ৪,শ টাকা খরচ হয়।

কোরবানির জন্য লালন-পালন করা একটি ষাঁড়ের ছোট বাবু। কালো ও সাদা রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৭ ফুট, উচ্চতা ৪ ফুট। ওজন ২০ মণ। ষাঁড়টির মালিকের আশা, বাবু কে বিক্রি করবেন ১৫ লাখ টাকায়। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের বাড়িতে মোটাতাজা করেছেন কালীগঞ্জের আবদুল মান্নান। লালন-পালন করা বিশাল আকৃতির ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিন মানুষ ভিড় করছে তাঁর বাড়িতে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ছোটবাবু কে কোনো হাটে না নিয়ে অনলাইনে ছবি ও বর্ণনা দিয়ে বিক্রি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০১৭ সালের দেড় লাখ টাকায় হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভি কিনে পালন শুরু করেন মান্নান। পরিবারের একজন সদস্যের মতো করে গরু লালন-পালন করতে হয়। পরিবারের সবাই মিলে যতœ করে ষাঁড়টি বড় করা হয়েছে। এর চালচলন ও সুঠাম স্বাস্থ্য দেখে ষাঁড়টিকে তাঁরা ছোট বাবু বলে ডাকেন।

খাদ্য তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস, খড়, গমের ভুসি, চালের কুঁড়া, ভুট্টা, ডালের গুঁড়া, তৈলবীজের খৈল, ছোলা ও খুদের ভাত। সব মিলে দিনে ৩৫-৪০ কেজি খাবার খায় বাবু। শুরুর দিকে খাবার কম খেলেও দিনে দিনে তার খাবারের চাহিদার পরিমাণ বেড়ে যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন