হোম জাতীয় ৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

৬ আন্তর্জাতিক সংস্থার বিবৃতি প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 106 ভিউজ

জাতীয় ডেস্ক:

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ৬টি আন্তর্জাতিক সুশীল সমাজ সংস্থার দেয়া বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওই বিবৃতিকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবৃতিতে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার জন্য এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং বিভিন্ন দেশ প্রশংসা করেছে এবং নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর পরিবেশে এবং জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৫৩৪ জন প্রার্থী এবং ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। এ নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায়, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ভোট প্রদানের হার ৭০ শতাংশ বা তার চেয়েও বেশি ছিল। তবে শহর এলাকায় তুলনামূলকভাবে কম ভোটার উপস্থিতির কারণে সারা দেশে গড় ভোটের হার ছিল ৪১.৮ অর্থাৎ প্রায় ৪২ শতাংশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির সহিংসতা এবং নির্বাচন বানচাল করার হুমকি সত্ত্বেও, হাতে গোনা কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটের দিনটি ছিল শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক, যারা সক্রিয়ভাবে মাঠ থেকে নির্বাচনের প্রতিবেদন করেছেন, তারা তাদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ার এর সত্যতা প্রকাশ করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন সামনে রেখে সংযম এবং আইনি সীমা মেনে সহিংসতার ঘটনাগুলোর মোকাবিলা করেছে দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, রাজনৈতিক কারণে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়নি। নির্বাচন বানচালের জন্য যারা মানুষ ও যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেছে, আগুন দিয়েছে, মানুষকে হত্যা ও আহত করেছে এবং জনজীবন ব্যাহত করেছে, তাদেরকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে এবং সব নাগরিকের অধিকার রক্ষার জন্য এসব পদক্ষেপ প্রয়োজনীয় ছিল।

গণতন্ত্র ও নির্বাচনবিরোধী শক্তি যারা নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা করেছিল তাদের উৎসাহিত করতে এই বিবৃতি উদ্দেশ্যমূলকভাবে জারি করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন