খেলার সংলাপ:
২০১৬। ইংলিশ পেসার বেন স্টোকস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চার বলে চার ছয় হজম করে হাতছাড়া করেন বিশ্বকাপ শিরোপা। এমন দুঃস্বপ্নময় বোলিংয়ে রীতিমত খলনায়ক বনে গিয়েছিলেন স্টোকস। সাত বছর পর যেন সেই স্টোকসকেই মনে করালেন আইপিএলের দল গুজরাট টাইটান্সের বোলার যশ দয়াল।
যশ দয়ালই কি এই মুহূর্তে সবচেয়ে অসুখী ক্রিকেটারের নাম? শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হজম করে দলকে ডুবিয়েছেন। অসুখী না হলেও গত রোববার (৯ এপ্রিল) রাতে যে তার ঘুম হয়নি, এটা অন্তত বলাই যায়। গুজরাট টাইটান্সের ২৫ বছর বয়সী বাঁহাতি পেসার যশ দয়ালের ওপর দিয়ে রীতিমতো টর্নেডো বয়ে যায় সেদিন। আহমেদাবাদে ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল কলকাতা। শেষ ওভারে দলটির দরকার ছিল ২৯ রান। বিপরীতে তিনি খরচ করলেন ৩১ রান। তার ওভারে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ক্রিকেটবিশ্বে প্রসংশার জোয়ারে ভাসছেন কলকাতার ব্যাটার রিঙ্কু সিংহ।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে যেন হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন যশ। টেলিভিশনে যশকে কাঁদতেও দেখা গেছে। কান্নার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমন সময়ে যশ দয়াল সবচেয়ে বড় সান্ত্বনার বাণী হয়তো শুনেছেন এলাহাবাদ থেকে।
দয়ালকে এলাহাবাদ থেকে সান্ত্বনা দিয়েছেন তাঁর বাবা চন্দরপল দয়াল। চন্দরপল দয়াল আত্নীয়স্বজনদের বলেন, ‘আমি তাদের (আহমেদাবাদে খেলা দেখতে যাওয়া যশ দয়ালের আত্মীয়) বলেছি ওর সঙ্গে কথা বলে অনুপ্রাণিত করতে। ও হয়তো খুব ভেঙে পড়বে। ও এমনিতেই কম কথা বলে। একটু অন্তর্মুখী ধরনের লোক।’
চন্দরপল ছেলে দয়ালকে সাহস জুগিয়েছেন এই বলে, ‘ভয় পেয় না। ক্রিকেটে এটা নতুন কিছু নয়। বোলাররা মার খাবেই। এটা বড় বোলারদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। কঠিন পরিশ্রম করে যাও। বোঝার চেষ্টা করো, ভুলটা কোথায় হচ্ছে। ওকে বলেছি যে আমি আসছি।’