জাতীয় ডেস্ক:
ঢাকা-মাওয়া রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর) পদ্মা সেতুর সঙ্গে যুক্ত হওয়া ঢাকার রেলপথে গতির সক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা করা হয়।
সকাল ৮ টা ২৫ মিনিটে মাওয়া স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। প্রথমে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বের কমলাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছাতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট।
এরপর ১২ টা ৩১ মিনিটে কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে রওয়ানা হয়ে মাওয়া স্টেশনে পৌঁছায় ১টা ৩৫ মিনিটে। সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৪ মিনিট। আবার মাওয়া স্টেশন থেকে ২ টা ৩৮ মিনিটে ১০০ কিলোমিটার বেগে রওয়ানা হয়ে ঢাকার জুরাইন পৌঁছায় ৩টা ৩৮ মিনিটে। এ যাত্রায় ১ ঘণ্টা লাগলেও পথে কিছু সময় ব্যয় হয়েছে।
বিকেল ৩ টা ৫৫ মিনিটে ১২০ কিলোমিটার গতিতে যাত্রীবাহী ট্রেনটি রওয়ানা হয়ে ২৫ মিনিটে মাওয়া পৌঁছায়। সর্বোচ্চ গতি ছিল ১২৬ কিলোমিটার।
পয়লা নভেম্বর বাণিজ্যিক ট্রেন চালানোর আগে চূড়ান্ত এ পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ দল। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) মালবাহী ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হবে। এরইমধ্যে মাওয়া-ভাঙ্গা দ্রুতগতির ট্রেনের গতি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ ব্রিগেডিয়ার আহমেদ জামিউল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকালে ৫টি বগি নিয়ে ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হয়। ধলেশ্বরী এবং বুড়িগঙ্গা রেলসেতু অতিক্রম করে একই গতিতে ট্রেন পৌঁছে ঢাকার কমলাপুরে। এ সময় ট্রেনে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, দ্রুতগতির ট্রেন ভ্রমণ মানুষের জন্য আরামদায়ক হবে। ঢাকা থেকে মাওয়া অধাঘণ্টা এবং ভাঙ্গা পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনে এক ঘণ্টায় পৌঁছানো যাবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে দ্রুতগতির রেললাইন নির্মাণ হয়েছে নিখুঁতভাবে। চূড়ান্ত পরীক্ষার পরই সুফল পাবে দেশের মানুষ। মাওয়া-ঢাকা রুটের ১৭ কিলোমিটার পাথরবিহীন এবং ২৩ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।