জাতীয় ডেস্ক:
১৩ বছরের ব্যবধানে সোমালিয়ার একই জলদস্যু গ্রুপের হাতে জিম্মি হলো বাংলাদেশি জাহাজ। এমভি জাহান মনির মতো একই কায়দায় উপকূল থেকে অনেক দূরে এসে জিম্মি করা হয় এম ভি আবদুল্লাহকে। এমনকি জাহাজ দুটিকে নোঙর করা হয়েছে একই স্থানে। ভারত মহাসাগরের ঝুঁকিপূর্ণ ওই অঞ্চলে আন্তর্জাতিকভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের জাহাজ ব্যবসায়ীরা।
২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টা। ভারত মহাসাগরের লাক্ষাদ্বীপ থেকে মাত্র ৩০০ নটিক্যাল মাইল দূরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহানমনি।
২০২৪ সালের ১২ মার্চ দুপুর ১টা ভারত মহাসাগরের সোমালিয়ান উপকূল থেকে সাড়ে ৫০০ নটিক্যাল দূর থেকে এসে জিম্মি করা হয় বাংলাদেশি মালিকানাধীন আরেকটি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। আর দুটি জাহাজেই অন্তত তিনদিন চালিয়ে নোঙর করা হয়েছে সোমালিয়ার ঘেরাকাত উপকূলে।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সোমালিয়ান উপকূলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে পৃথক তিনটি যুদ্ধবাজ গ্রুপ। গৃহযুদ্ধের কারণে এসব জলদস্যু গ্রুপের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণই রাখতে পারছে না সোমালিয়ান সরকার। তবে সোমালিয়ান স্বীকৃত বন্দরগুলোতে ছিনতাই করা জাহাজ ভেড়ানোর সুযোগ না থাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রিত উপকূলের কাছাকাছিই জাহাজগুলোকে রাখে তারা।
প্রতিপক্ষের হামলার শঙ্কায় এমভি আবদুল্লাহকেও তারা শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে নিজেদের নিয়ন্ত্রিত উপকূলে সরিয়ে নিয়েছে।
তবে, বারবার ভারত মহাসাগরেই বাংলাদেশি জাহাজ জলদস্যুদের কবলে পড়ায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের জাহাজ ব্যবসায়ীরা। এক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিকভাবে দাবি তোলার কথা বলছেন তারা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের আক্রমণ মাঝে মাঝেই হয়। দেখা যায়, এদেরই একটা সিন্ডিকেট থাকে যারা বারবার একই কাজ করে। এসময় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করতে তাগিদ দেন এই জাহাজ ব্যবসায়ী।
আগে ছিনতাই হওয়া এমভি জাহান মনির ২৫ নাবিকসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন পর মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়িয়ে আনতে হয়েছিল। আর এবারের এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে রয়েছেন ২৩ নাবিক।