হোম এক্সক্লুসিভ ১৩ দিন পর চট্টগ্রামের এক প্রতারক ব্যবসায়ীকে ভোমরা স্থলবন্দর থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

চট্রগ্রামের এক প্রতারক ব্যবসায়ীকে ১৩ দিন একটি রুমে আটকে রাখার পর ভোমরা স্থলবন্দর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভোমরা স্থল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ম্যানেজারের ভাড়া বাসা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ। এঘটনায় ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিনকে আটক করা হয়েছে।

উদ্ধারকৃত ব্যবসায়ীর নাম সাউদ সাদাত (৪৮)। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ এলাকার সামছুল আলমের ছেলে। তাকে ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহসিনের একটি ভাড়া বাড়ীতে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছিল বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী। ওই বাসায় মাকসুদ খানের ম্যানেজার মহাসিন আলীও বসবাস করতেন।

ঐ প্রতারক ব্যবসায়ীর স্ত্রী ফারহানা রেজা জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার তার স্বামীসহ তিনজন ব্যবসার কাজে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের নাম করে বাড়ি থেকে রওনা হন। ভোমরায় আসার পর ভোমরা স্থলবন্দরের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান তার স্বামীর সাথে থাকা অপর দু’জন ব্যবসায়ীকে চলে যেতে বলেন। এবং তার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে নেন। পরে তার স্বামীকে নতুন একটি নাম্বারের সিম দেন। সে নাম্বার দিয়ে তার স্ত্রীকে জানান, তাকে ভোমরায় একটি রুমে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে।

ভোমরা সিএন্ডএফ এজন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান জানান, তার সাথে চার মাস ধরে ব্যবসা চলছিল ঐ প্রতারক ব্যবসায়ীর। লেনদেনও ভালো ছিল। হঠাৎ কোরবানি ঈদের দশ দিন আগে তার কাছ থেকে এক কোটি ২৩ লাখ টাকার শুকনা মরিচ, রসুন, পেয়াজ নিয়ে আর টাকা দেয়নি। এবিষয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারি থানা ও সাতক্ষীরা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে।

তবে তাকে আটকে রাখার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার ম্যানেজারের সাথে একসাথে একরুমে থাকতো, খাওয়া-দাওয়া করতো। ১৭ সেপ্টেম্বর রোববার তার পাওনা ৫০লাখ টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা যাতে না দিতে হয় সেজন্য তিনি এই অপহরনের নাটক তৈরী করেছে বলে দাবী করেন। ব্যবসায়ী সাউদ সাদাত একজন চিহ্নিত প্রতারক। বিভিন্ন আমদানীকারকদের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে টাকা চোট দেয়। এই চক্রের কারনে অনেক ব্যবসায়ী পথে বসেছে।

সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন এক ব্যক্তিকে ভোমরায় আটকে রাখা হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ব্যস্ততার কারনে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন