হোম অন্যান্যসারাদেশ ১০টাকা কেজি চালে চরফ্যাশনে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

১০টাকা কেজি চালে চরফ্যাশনে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ 

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 143 ভিউজ
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি :
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় ২৪ হাজার ৪১৩ সুবিধাভোগী পরিবার প্রতি মাসে ১০ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে।
বতর্মানে কার্ডধারীদের মাঝে এই চাল বিতরণ কার্যক্রম চলছে। কিন্তু এ কাজে উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাজিয়া বেগমের স্বামী ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অজিউল্লাহ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাচাই-বাছাইয়ের নামে দুস্থদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে পছন্দের ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আসলামপুর ইউনিয়নের আবুগঞ্জ বাজার ও বদ্দারহাট এলাকায় ১০ টাকা কেজি মূল্যের চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণকালে সুবিধাভোগী সিরাজ বলেন, ‘হালনাগাদের নামে ব্যাপক অনিয়ম শুরু হয়েছে। কার্ড আছে কী নেই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। আবার ডিলারের কাছে নামের তালিকা ঠিকভাবে পৌঁছেছে কি না তা নিয়েও শঙ্কায় ছিলাম। ভাগ্য ভালো চাল পেয়েছি।’ ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সংরক্ষিত ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাজিয়া বেগমের স্বামী মো. হারুনের মাধ্যমে ৩০০ টাকা দিয়ে আমি একটি কার্ড করিয়েছি। এ কার্ড দিয়ে দুবার চাল পাই। কিছুদিন আগে যাচাই-বাচাইয়ের নামে আমার কাছ থেকে আবারও ২০০ টাকা নেন হারুন।
গত মঙ্গলবার তাঁর কাছে কার্ডের জন্য গেলে তিনি বলেন, মেম্বার অজিউল্লাহ কার্ড থেকে নাম কেটে দিয়েছেন।’ রিক্সা চালক নুরে আলম বলেন, ‘মেম্বাররা যাচাই-বাছাইয়ের নামে আমাদের নাম কেটে টাকার বিনিময়ে অন্য লোকদের কার্ড দিয়েছেন।’ সুবিধাভোগী নারগিছ বেগম বলেন, ‘১০ টাকার চালের কার্ড করিয়ে দিতে আমার কাছ থেকে ১২০০ টাকা নিয়েছেন হারুন।’ এ ছাড়া কিরণ সদাগর ও সুমা বেগমের কাছ থেকেও এক হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে জানান তাঁরা।
অভিযুক্ত সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য রাজিয়া বেগমের স্বামী মো. হারুন বলেন, ‘মেম্বার অজিউল্লাহ সুবিধাভোগীদের নাম কেটে তালিকায় তাঁর স্বজনদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এখানে আমার কিছুই করার নেই।’ অভিযোগ অস্বীকার করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য অজিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘উল্টো হারুন অসহায় লোকজনের নাম পরিবর্তন করে টাকার বিনিময়ে পছন্দের ব্যক্তিদের নাম দিয়েছেন।’
আসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, ৮নং ওয়ার্ডে নামের তালিকা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় আগের তালিকা অনুযাই চাল দেয়া হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ‘অনিয়ম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন