জাতীয় ডেস্ক :
পহেলা সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে মেট্রোরেলের সমন্বিত ট্রায়াল। অক্টোবরে হবে যাত্রীবিহীন চলাচল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১০ মিনিট পর পর চলবে ট্রেন। পরে নেমে আসবে তিন মিনিটে। সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
শিগগিরই বৈদ্যুতিক ট্রেনের জগতে পা রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বপ্নযাত্রা শুরু করতে প্রতিদিনই হচ্ছে নিয়মিত পারফরম্যান্স টেস্ট। নিজস্ব প্রশিক্ষিত অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত থাকেন একজন বিদেশি দক্ষ অপারেটার। প্রথম দফায় যে ট্রেনগুলোর হাত ধরে এ যাত্রা শুরু হবে সেই ট্রেনগুলো এখন প্রতিদিনই নামছে রেলের ট্র্যাকে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম দিন থেকেই হবে সমন্বিত ট্রায়াল রান বা পারফরমেন্স টেস্ট। যেখানে প্রতিটি স্টেশনে কতক্ষণ ট্রেন থামবে কখন দরজা খুলবে কিংবা বন্ধ হবে আবার ট্রেনের ভেতর থেকে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ স্থাপন হবে সেই বিষয়গুলো খুঁটিনাটি দেখে নেয়া হবে। এরপরের ধাপ ব্ল্যাংক টেস্ট বা যাত্রীবিহীন চলাচল সেখানে যাত্রীসহ কীভাবে ট্রেন চলাচল করবে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, প্রথমে ঢোকার পরই দেখা যাবে, সেখানে টিকিট কীভাবে কাটা হয়। এই ব্যবস্থাটা এখানে বলা আছে। দুইভাবে টিকিট কাটা যাবে। একটা ম্যানুয়াল ব্যবস্থা, অন্যটা নিজে টিকিট কাটার ব্যবস্থা। তারপর একটা হল রুমে ঢুকতে হবে। সেই হল রুমে ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে সেই পর্বে চলবে দশটি ট্রেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রাথমিকভাবে এই দশটি ট্রেন প্রতি ১০ মিনিট পরপর আসা-যাওয়া করবে।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে দুটো বিষয় টার্গেট করে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। একটা হচ্ছে, সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট বা ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট, যেটা আমরা ১ সেপ্টেম্বর শুরু করতে যাচ্ছি। তারপর ড্রাইভিং অন সিমুলেটর, পুরো সিস্টেমটাকেই সিমুলেট করে ওই সিস্টেমে দেয়া আছে। সেখানে তিনি ড্রাইভ করবেন। সেটা আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু করছি।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এমআরটি লাইন সিক্সের সবশেষ অগ্রগতি ৯৩ দশমিক ৮৬ ভাগ।