হোম অন্যান্য ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে জি কে শামীমকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে জি কে শামীমকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 35 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
অর্থপাচার মামলায় বিচারিক আদালতে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ থেকে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ও আলোচিত ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার আপিল আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১-এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলশান থানায় অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড আবু সাঈদ আট জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। ওই বছরের ১০ নভেম্বর বিচার শুরু হয়।

২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনে শামীমের বাড়ি ও অফিসে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে আটটি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল সংখ্যক গুলি, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং মদ জব্দ করে।

পরে ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই অর্থপাচার আইনের মামলায় জি কে শামীমের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন অধস্তন আদালত। এছাড়া তার সাত দেহরক্ষীকে চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাদের ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা করা হয়। রায়ে উল্লেখ করা হয়, ৬০ দিনের মধ্যে এ জরিমানা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণার পরপরই সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় আসমিদের।

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছিলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থ পাচারকারীদের কোনও আদর্শ নেই। তারা কোনও আদর্শ লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতি অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।

পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জি কে শামীম। এরই ধারাবাহিকতায় আপিলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন হাইকোর্ট।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন