হোম খেলাধুলা হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াল বাংলাদেশ

খেলাধূলা ডেস্ক :

তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে হারলেই ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেত বাংলাদেশ। সেই লজ্জা টাইগাররা এড়িয়েছে ১০৫ রানের জয় দিয়ে। আগের দুই ম্যাচে হারা বাংলাদেশ বুধবার (১০ আগস্ট) শেষ ম্যাচে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে রোডেশীয়দের ১৫১ রানে অলআউট করেছে।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ২৫৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুই ওভার শেষে ৭ রান তুলতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে জিম্বাবুয়ে। হাসান মাহমুদ উদ্বোধনী ওভার করতে এসে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন কাইতানোকে। ৫ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি এই ব্যাটার। হাসানের পর দ্বিতীয় ওভারেই আক্রমণে স্পিনার নিয়ে আসেন অধিনায়ক তামিম। আস্থার প্রতিদানও দেন অফস্পিনার মিরাজ। ১ রান করা অপর ওপেনার মারুমানিকে বোল্ড করেন তিনি।

তাইজুল ইসলাম প্রথম ওভার করতে এসে ফিরিয়ে দেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়াকে। মাত্র ১০ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এরপর ফিরিয়ে দিলেন ১৩ রান করা টনি মুনিয়োঙ্গাকে। অভিষিক্ত এবাদত হোসেন বল হাতে পেয়েই নায়ক বনে যান। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। তার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাধভেরে ও বিপজ্জনক সিকান্দার রাজা।

১৫ রান নিয়ে ব্যাট করতে থাকা লুক জংউইয়ের উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শিকারে পরিণত হন ক্লিভ মাদান্দেও। ফেরার আগে তিনি করেন ২৪ রান। ফিজ শিকার করেন ব্রাড ইভান্সকেও। শেষ ব্যাটার হিসেবে মুস্তাফিজ শিকার করেন ভিক্টর নাইয়াচির উইকেট। আউট হওয়ার আগে রিচার্ড এনগারাভাকে নিয়ে ৬৮ রানের জুটি গড়েন তিনি। যা ওয়ানডেতে দশম উইকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এর আগে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান আসার পর বিদায় নেন তামিম ইকবাল। ৩০ বলে তিনি করেন ১৯ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চারের মার। অধিনায়কের বিদায়ের পরের ওভারের প্রথম বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্তও। গোল্ডেন ডাক মেরে নিজের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন এই ব্যাটার। শান্তর পর ইভান্সের সে ওভারেই লাফিয়ে ওঠা বলে অহেতুক শট খেলে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিমও। শূন্য রানে অযথা উইকেট ছুড়ে দিয়ে এসে দলকে বিপদে ফেলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।

আকস্মিক ছন্দপতনে ৩ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশ তখন বিপদে। তবে দারুণ ব্যাটিংয়ে দিশা দেখাচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ভালো একটা জুটি গড়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু বিদায় নেন নিরীহ এক বলেই। স্ট্যাম্পের বাইরের নিরীহ দর্শন এক বলে খোঁচা মেরে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেয়ার আগে ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৭৬ রান করেন তিনি।

বিজয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে চাপ সামাল দেয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাট করছিলেন টেস্টের মেজাজে। তবে সাবধানী ব্যাটিংয়েও রক্ষা হলো না সাইলেন্ট কিলারের। বোল্ড হয়ে যান রিয়াদ। এনগারাভার বলে বোল্ড হয়ে শেষ হয় রিয়াদের সংগ্রামী ইনিংস। ৬৯ বলে ৩ চারের মারে ৩৯ রান করেন রিয়াদ। রিয়াদের সঙ্গে জুটি গড়ে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট এনে দিতে লড়ছিলেন আফিফ। তরুণ কাঁধে সামলাতে চেষ্টা করেছেন দলের ভার। বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছেন চ্যালেঞ্জিং একটা সংগ্রহ এনে দিতে। শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন