জাতীয় ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিন্দু ভাই-বোনদের কোন ভয় নেই, আপনাদের সঙ্গে শেখ হাসিনা আছেন, আওয়ামী লীগ আছে। আমরা সংখ্যালঘুবান্ধব সরকার।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশ কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন না সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষ দাঁত আমরা ভেঙে দিতে পারব, ততদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজপথে থাকবে। আওয়ামী লীগ এ অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে। এদের সমুচিত জবাব দিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সামনে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ বিএনপি আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। আমরাও জানি কারা এদের ফান্ডিং করছে। কাদের রাজনৈতিক উসকানিতে এই অপশক্তি আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। একটা কথা বলতে চাই, যারা আজকে এই সাম্প্রদায়িকতার বিষবাক্য ছড়াচ্ছে, তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। এই দেশে যত মুসলমান, তার চেয়ে বেশি মুসলমান প্রতিবেশী দেশ ভারতে আছে। এখানে মাইনরিটিকে যদি আমরা ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিই, ভারতে আমাদের চেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলমান; তাদের জীবনের কথা, জানমালের কথা আমাদের ভাবতে হবে।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনির্ধারিত জরুরি সভা শেষে ‘সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী সভায় আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মীকে দেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তৎপরতা প্রতিরোধ করার নির্দেশ ও দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন। যেকোনো মূল্যে দেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন বিশ্ব সভায় একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, ঠিক সে সময়ে একটি চিহ্নিত মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে সাম্প্রদায়িক হানাহানি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। সরকার ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান। সরকার পরিস্থিতির ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে এবং এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভার ঘোষণা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো মঙ্গলবার দেশের সব জেলা, মহানগর ও উপজেলায় সম্প্রীতি সমাবেশ ও শান্তি শোভাযাত্রা আয়োজন করবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতৃবৃন্দ সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকাও পরিদর্শন করবেন।